Friday, February 14, 2025
বাড়িরাজ্যজেনেরিক মেডিসিন এবং খুচরো ব্যবসায়ীদের মধ্যে লড়াই হাঁপানিয়া হসপিটালে, এম এস -এর...

জেনেরিক মেডিসিন এবং খুচরো ব্যবসায়ীদের মধ্যে লড়াই হাঁপানিয়া হসপিটালে, এম এস -এর কাছে ডেপুটেশন

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১১ সেপ্টেম্বর : ধনী গরিব বিচার করে রোগ ছড়ায় না। রোগ হলে তার থেকে মুক্তি পেতে মানুষ ছুটে যায় চিকিৎসকের কাছে। কিন্তু সাধ্যমত চিকিৎসা করে রোগ সারিয়ে উঠতে গিয়ে দেখা যায় চিকিৎসা পরিষেবা যেন আজকাল দিনে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। তারপরও মানুষ সরকারি হাসপাতাল গুলিতে ছুটে যায় যদি কিছুটা হলেও কম অর্থ ব্যয় করে পরিষেবা পেতে পারে। কিন্তু হাসপাতাল গুলির মধ্যে জেনেরিক মেডিসিন কাউন্টার নামে এবং হাসপাতালের বাইরে যে সব ঔষধের দোকান রয়েছে সেগুলি রোগীর পরিবারের পকেট কাটতে আগে থেকেই খাপ পেতে বসে রয়েছেন। এর উপর কোন ধরনের নিয়ন্ত্রণ নেই প্রশাসনের।

এরই মধ্যে হাঁপানিয়া হাসপাতালের ভেতর জেনেরিক ওষুধ ব্যবসায়ীরা রোগীদের কাছে চড়া দামে ওষুধ বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠে সোমবার। এই জেনেরিক ওষুধ দোকান যাতে অতি শীঘ্রই বন্ধ করে দেওয়া হয় তার দাবি জানিয়ে সোমবার হাঁপানিয়া হাসপাতাল সুপার নিকট ডেপুটেশন প্রদান করেন হাসপাতাল সংলগ্ন ওষুধের দোকানের মালিকরা। জানা যায়, ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ হাপানিয়ার হাসপাতালের বাইরে প্রায় ৩০ জন ঔষধ ব্যবসায়ী দীর্ঘ বৎসর যাবৎ ঔষধ ব্যবসা করে চলেছে। কিন্তু গত এক মাস আগে হাঁপানিয়া হাসপাতালের ভেতরে IRAYS MEDTECH SOLUTIONS নামে এই সংস্থা জেনেরিক কাউন্টার খুলেছে। কিন্তু দেখা গেছে বাইরে যেইসব ঔষধের দোকান ঔষধ বিক্রি করছে সেই দোকানের তুলনায় অনেক কম দামে বাইরের দোকানে ঔষধ বিক্রি করা হয় বলে জানান দোকানের মালিকরা। যাইহোক কেউ কোন জটিল রোগে আক্রান্ত হলে সেটা সারিয়ে উঠতে কার্যত সংশ্লিষ্ট পরিবারটির জন্য বিভীষিকাময় হয়ে দাঁড়ায়।

 কারণ ঔষধ যে কতটা আঁকাছোঁয়া তা সহজে অনুমান করা যায় না। কেন্দ্রীয় সরকারের কেমিক্যাল এন্ড ফার্টিলাইজার দপ্তরের অধীন ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইজিং অথোরিটি দেশের সাধারণ ও গরিব মানুষের কথা মাথায় রেখে তাদের ক্রয় ক্ষমতার ভিত্তিতে ওষুধের দাম নির্ধারণ করে। নিয়ম অনুযায়ী সমস্ত ওষুধকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে একটি হল অতি প্রয়োজনীয় ঔষধ এবং অপরটি হল কম প্রয়োজনীয় ঔষধ। কোন কোন ওষুধ অতি প্রয়োজনীয় তা স্থির করে দেশের নীতি আয়োগ। ফলে এই তালিকার মূল্যবৃদ্ধি হার যথাসম্ভব নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা হয়।

অতি প্রয়োজনীয় ঔষধ উৎপাদক থেকে বিক্রি পর্যন্ত লাভের সামঞ্জস্য যাতে ১৬ শতাংশের মধ্যে হয় সেটাও নিশ্চিত করে দেয় তারা। তবে অতি প্রয়োজনীয় মেডিসিনের ক্ষেত্রে এটা হয় না। সে ক্ষেত্রে ওষুধগুলির সংখ্যাটা হচ্ছে প্রায় মোট ওষুধের ৯০ ভাগ। আর সেক্ষেত্রে অসাধু ঔষধ ব্যবসায়ীরা রোগী ও রোগীর পরিবারদের পকেট কেটে চলেছে। কখনো কখনো ১০ শতাংশ, আবার কোথাও ১৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয় বলে ক্রেতাদের সঙ্গে মশকরা করতে দ্বিধা করে না কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা। এখন আবার দেখা যাচ্ছে জেনেরিক মেডিসিনেও রোগী ও রোগীর পরিবারদের স্বস্তি নেই। যাইহোক খুচরো দোকান এবং জেনেরিক মেডিসিন কাউন্টার সব জায়গাতেই কতিপয়ের গালভরা চমক সাধারণ মানুষের পকেট কাটার ফন্দি। উদাসীন প্রশাসন। আর প্রশাসনের উদাসীনতা দিশেহারা সাধারণ মানুষ। অর্থাৎ মানুষের অবস্থা ভাত খাবে, নাকি ঔষধ খাবে?

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য