স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৭ সেপ্টেম্বর : অর্থের অভাবে চিকিৎসা করতে পারছে না ১২ বৎসরের অমিত সবর। ভাইকে সুস্থ করে তুলতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বোনের সাহায্যের আবেদন জানায়। ঘটনা কৈলাসহরের রাংরুং চা বাগান এলাকায়। জানা যায়, কৈলাসহরের শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরে রাংরুং চা বাগান। এলাকার বছর বারোর এক কিশোর অমিত সবর প্রায় মাস খানেক আগে গাছ থেকে পড়ে গিয়ে হাঁটুতে চোট পায়। হাঁটুর উপরের অংশের হাড় ভেঙ্গে যায়।
অমিতের পরিবারে তার অন্ধ মা সুকুর মনি সবর, ছোট বোন সুরজ মনি সবর এবং বড় বোন রুমা সবর মিলেই তাদের সংসার। পনেরো বছরের বোন রুমা সবর বাগানে পাতা তুলে কোন রকমে সংসার চালান। অর্থাৎ এই ১৫ বছরের যুবতীর উপরই সংসারের সব দায়িত্ব। কিন্তু বাগানের কাজ করে যা রোজগার হয় তা দিনের অর্জন রাতেই শেষ হয়ে যায়। এই অবস্থায় স্থানীয় হাতুড়ে ডাক্তারের সাহায্যে ভেবেছিলেন ভাইয়ের হাড় জোড়া লেগে যাবে। এর বাইরে গিয়ে কি করে চিকিৎসা করাবে? কিন্তু যেভাবে হাড় ভেঙেছে তাতে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। কারণ ভাঙা জায়গায় ঘা বিস্তার ঘটেছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে অমিতকে।
হাসপাতালের চিকিৎসক অমিতের ক্ষত এবং হাড়ের অবস্থা দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য জিবি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। অবশ্য আর্থিক সংগতির কথা শুনে জেলার মুখ্য চিকিৎসা আধিকারিক এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেন। এবং এর বেশি তিনি যে কিছু করতে পারবেন না, তা অকপটে শিকারও করে নেন। ঘরে অন্ধ মা রয়েছেন। ভাতার তালিকায় মায়ের নাম থাকলেও ভাতা পাচ্ছেন না। রেশন কার্ড থাকলেও রেশন তুলতে পারছেন না, বৃদ্ধাঙ্গুষ্টের সঙ্গে রেশনের দোকানের মেশিনে মিলছে না। আবার এই রেশন কার্ডও এপিএল এর পোষাক পরানো। ফলে স্বাস্থ্য বীমা দূরস্ত, সরকারী চিকিৎসাজনিত সাহায্যের প্রধান বাধা হয়ে দাড়িয়েছে এই এপিএল -এর পোষাক পরা রেশন কার্ড। এই অসুস্থ কিশোর যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আর অসহায়ভাবে দিন কাটাচ্ছে। ভাই অমিতকে সুস্থ করে তুলতে বোন রুমা চোখে জল নিয়েই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার অনুরোধ জানায়। সহযোগিতার জন্য সরকার এগিয়ে আসলে পরিবারটি উপকৃত হবে।