স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ সেপ্টেম্বর : শেষ পর্যন্ত খবর প্রকাশের ২৪ ঘন্টা পর অভিযানে নেমে ঘাম ঝরালেন ফুড সেফটি অফিসার। সোমবার জগন্নাথ জিউ মন্দিরের সামনে মেলায় খাবারের দোকান গুলিতে পৃথক পৃথক অভিযান চালায় খাদ্য দপ্তর ও ফুড সেফটি কন্ট্রোলারের টিম। খাদ্য দপ্তর বাজেয়াপ্ত করে দুইটি রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার। অপরদিকে ফুড সেফটি কন্ট্রোলারের টিম সংগ্রহ করে খাবারের নমুনা।
উল্লেখ্য, প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও রাজধানীর জগন্নাথ জিউ মন্দিরের সামনে ঝুলন যাত্রা উপলক্ষ্যে বসে মেলা। সেই মালায় বিভিন্ন রকমের খাবার নিয়ে বসে দোকানদাররা। এক প্রকার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে দোকানদাররা দোকান করে যাচ্ছে। খাবারের বিভিন্ন সামগ্রী সাজিয়ে রাখা হলেও সেই গুলি ঢাকা নেই। শুধু তাই নয় পুকুরের জল দিয়ে খাবার তৈরির অভিযোগ উঠে। এই নিয়ে সংবাদ সম্প্রচারের পর নড়েচড়ে বসে খাদ্য দপ্তর ও ফুড সেফটি কন্ট্রোলারের টিম। সোমবার দোকান গুলিতে প্রথমে অভিযান চালায় মহকুমা খাদ্য দপ্তর। অভিযান চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয় দুইটি ডোমেস্টিক রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার। যে গুলি দোকানে ব্যবহার অবৈধ। সদর মহকুমা প্রশাসনের এক ডিসিএম জানান এইদিন মেলায় বসা একটি খাবারের দোকান থেকে দুইটি রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সদর মহকুমা প্রশাসনের অভিজানের পর ফুড সেফটি কন্ট্রোলারের একটি টিম হানা দেয় জগন্নাথ জিউ মন্দিরের সামনে মেলায় বসা খাবারের দোকান গুলিতে
। খাবারের দোকান গুলি থেকে বিভিন্ন খাবারের নমুনা সংগ্রহ করে ফুড সেফটি কন্ট্রোলারের টিম। পাশাপাশি দোকানে সাজিয়ে রাখা বিভিন্ন খাবার গুলিকে ঢেকে রাখার জন্য দোকানদারদের নির্দেশ দেন ফুড সেফটি কন্ট্রোলার। ফুড সেফটি অফিসার সাতচাক্তি দেববর্মা জানান যে সকল দোকানে খাবার ঢেকে রাখা হয় নি, সেই সকল দোকানের মালিকদের খাবার ঢেকে রাখার জন্য বলা হয়েছে। দোকান গুলি থেকে খাবারের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। তিনি স্বীকার করে নেন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ সম্প্রচার হওয়ার কারনে ওনারা এই অভিযান চালিয়েছেন। এখন দেখার ফুড সেফটি কন্ট্রোলারের টিম খাবার নমুনা সংগ্রহ করাতেই সীমাবদ্ধ থাকেন, নাকি রিপোর্ট আসার পর উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। কারন সচরাচর ফুড সেফটি কন্ট্রোলারের অভিযান দেখা যায় না। ফলে রাজধানীর একাধিক রেস্টুরেন্টে অসচ্ছ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করে বিক্রয় করা হয়।