স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ সেপ্টেম্বর : চোরা বাণিজ্যের জের ধরে ত্রিপুরা – অসম সিমান্তে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয় শনিবার। ত্রিপুরার জনতার হাতে আক্রান্ত আসাম পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ পুলিশ। দুই সীমান্তে উত্তেজিত জনতা বিকল্প জাতীয় সড়ক এনএইচ ২০৮ এ যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শুক্রবার গভীর রাতে একটি কাঠের লগ বোঝাই গাড়ি আসাম থেকে অবৈধভাবে ত্রিপুরায় প্রবেশ করে।
ত্রিপুরা পুলিশকে হুমকি দিয়ে গেইট তুলে গাড়িটি নিয়ে যায় মাফিয়ারা বলে সূত্রে খবর। অথচ এই সড়কে মালবাহী গাড়ি চলাচল করতে পারে না। রাত নয় ঘটিকার পর গেইট বন্ধ করে দেওয়া হয়। কোন যাত্রীবাহী গাড়িও চলাচল করতে পারে না। কিন্তু অভিযোগ হলো নেশা সামগ্রী বহনকারী গাড়ি ও অবৈধ সামগ্রী বোঝাই লরি গুলি নাকি রাতে বেলা ত্রিপুরায় প্রবেশ করে৷ এবং এর পেছনে জড়িত রয়েছে ত্রিপুরার মাফিয়ারা। কিন্তু অবৈধভাবে কিভাবে গাড়ি পার হলো তানিয়ে শনিবার সকাল থেকেই ঝেরঝেরি সিমান্তে জড়ো হতে থাকে আসামের সিমান্ত এলাকার মানুষ জন।
তাতে অবশ্য সিমান্তের বাণিজ্য মাফিয়াদের ইশারা রয়েছে। বদরুল হক নামের আরেক মাফিয়া ত্রিপুরা সিমান্তের তার সাথে কথা কাটাকাটি হয় ঝেরঝের চেক পয়েন্টে। কামরুল পাশা চৌধুরী নামের আসামের সিমান্ত এলাকার এক আইনজীবী ঘটনা স্থলে এসে সিমান্তে পাচার বানিজ্য নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুলতেই বদরুল হক তার উপর আক্রমণ করে। এই ঘটনা পরিপ্রেক্ষিতে কাঠালতলী থানায় অভিযোগ করলে আসাম পুলিশ ত্রিপুরা সিমান্তের ঝেরঝেরি চেকপোস্টে এসে বদরুলকে পকড়াও করতে চাইলে সে পালিয়ে যায়। আসাম পুলিশ ত্রিপুরার সিমানায় প্রবেশ করে বদরুলের বাড়ি পাশ থেকে তাকে ধরে নিয়ে যেতে চাইলে গ্রামবাসী আসাম পুলিশের উপর আক্রমণ করে। তাতে আসাম পুলিশের দুজন আক্রান্ত হন। জুতো দিয়ে পেটানো হয়। এবং ছোঁড়া হয় ইট পাটকেল। ত্রিপুরার স্থানীয় এলাকার মানুষের বক্তব্য কেন আসাম পুলিশ গোটা বিষয়টি ত্রিপুরা পুলিশকে না জানিয়ে বেআইনিভাবে গ্রেফতার করার চেষ্টা করেছে সেই ব্যক্তিকে। এই ঘটানায় আসামের সিমান্ত এলাকার মানুষ ঝেরঝেরি চেকপোস্ট ঘিরে রেখেছে। এই সড়ক দিয়ে গাড়ি চলাচল বর্তমানে বন্ধ আছে। দুই রাজ্যের পুলিশ পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। সৃষ্টি হয়ে আছে উত্তেজনা। দুই রাজ্যের যুবকরা সীমান্তে দাঁড়িয়ে একে অপরকে চোখ রাঙাচ্ছে। স্থানীয়রা দাবি করছে অবিলম্বে দুই রাজ্যের সীমান্তে অতিরিক্ত আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করার জন্য।