স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১ সেপ্টেম্বর : বিগত কয়েক বছরে রাজ্যে যতগুলি উপনির্বাচন সংগঠিত হয়েছে কোনটাই সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়নি বলে বিরোধী দলগুলি পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল। সে বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে থরহরি কম্পন শুরু হয়ে গেছে উপনির্বাচনের একমাত্র বিরোধী দল সিপিআইএমের। উপনির্বাচনের দুটি কেন্দ্র নিয়ে শুক্রবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবি করলেন সিপিআইএমের তিনজনের এক প্রতিনিধি দল।
প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম পরিষদীয় দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী, প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে সহ প্রমুখ। রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী নির্বাচন কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে নির্বাচন কমিশনের মুখ্য আধিকারিককে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দাবি জানানো হয়েছে। কারণ এক বছর আগে যে চারটি বিধানসভায় কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছে সেগুলিতে শাসক দল কিছু উপর মহলের পুলিশ আধিকারিক কাজ করে প্রহসনে তৈরি করেছে সেটা সকলের জানা। তাই এ ধরনের ঘটনা যাতে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর দুই কেন্দ্রে পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য সেইও -কে বলা হয়েছে। তিনি যাতে এই বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মী ও আধিকারিকদের সচেতন করেন। কারণ সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে বিগত উপনির্বাচনের মতোই পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে বক্সনগর এবং ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্রে। সোনামুড়ার অধিকাংশ অতিথি শালা, বিয়ে বাড়ি এবং বিশ্রামগঞ্জের পঞ্চায়েত ইনস্টিটিউটে বহিরাগতদের আনাগোনা। এ বিষয়ে সিইও কে বলা হয়েছে ভোটের ৪৮ ঘন্টা আগে নির্বাচনী এলাকায় কেউ যাতে না থাকতে পারে সেটা কথারকথা না হয়ে যাতে বাস্তবে পালন করা হয় বলে জানেন জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি আরো জানান পুলিং স্টেশনের ২০০ মিটার আগেই যাতে ভোটারদের কাছ থেকে প্রমাণ পত্র চেয়ে প্রবেশ করার সুযোগ দেওয়া হয়। আরে বলা হয়, নির্বাচনের ৪৮ ঘন্টা আগে যাতে আন্তর্জাতিক সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়। কারণ বিগত বিধানসভা নির্বাচনে সীমান্তের ওপার থেকে মানুষ এনে ভোটারদের আতঙ্কিত করতে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়গুলো জানতে পেরে সিইও আশ্বস্ত করেছেন বিষয়গুলি নিয়ে দুটি বিধানসভা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসনিক আধিকারিকদের সাথে কথা বলে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট করতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান জিতেন্দ্র চৌধুরী।