Sunday, September 8, 2024
বাড়িরাজ্যবিল্লাল মিঞা যোগ দিলেন পদ্মবনে

বিল্লাল মিঞা যোগ দিলেন পদ্মবনে

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ আগস্ট : জল্পনার অবসান। বক্সনগর ও ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনে বড়সড় ধাক্কা খেল প্রদেশ কংগ্রেস দল। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা নিজের অনুগামিদের নিয়ে যোগদান করলেন বিজেপি দলে। একই সাথে এইদিন তিপ্রা মথা দল থেকে বহিষ্কৃত নেতা আবুল খায়েরও অনুগামীদের নিয়ে বিজেপি দলে যোগদান করে।

 ২০ বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার বিজেপির উদ্যোগে বক্সনগর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তফাজ্জল হোসেনের সমর্থনে এক নির্বাচনী যোগদান সভার আয়োজন করা হয়। বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রের কুলুবাড়িতে হয় এই যোগদান সভা। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা, প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা। এইদিনের যোগদান সভায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা বিল্লাল মিয়াঁ অনুগামিদের নিয়ে বিজেপি দলে যোগদান করেন। মুখ্যমন্ত্রী। প্রদেশ বিজেপি সভাপতি সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা বিল্লাল মিয়া ও আবুল খায়েরের হাতে বিজেপি দলের পতাকা তুলে দিয়ে বিজেপি দলে বরন করে নেন। পরে যোগদান সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস ও সিপিআইএম-এর তীব্র সমালোচনা করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন ক্ষয়িষ্ণু পার্টি কংগ্রেস পার্টি। আগামি কিছুদিনের মধ্যে কংগ্রেস দলে আর মানুষ থাকবে না। শুধুমাত্র নাট্যকাররা থাকবে। ত্রিপুরার মানুষ কোন সময় সিপিআইএম-কে ভালবাসত না। একমাত্র কুচক্রীদের কারনে সিপিআইএম দীর্ঘ বছর ধরে রাজ্যের ক্ষমতায় ছিল। বছরের পর বছর মানুষ খুন, ধর্ষণ, নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাস দেখেছে। ২০১৮ সালে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার পর একটিও রাজনৈতিক খুন হয়নি বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। বর্তমান সরকারের উপর বিশ্বাস রাখার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান এইবার বক্সনগর কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হিসাবে যিনি নির্বাচিত হবেন তিনি প্রায় সারে চার বছর কাজ করার সুযোগ পাবেন।

 বক্সনগরের বেহাল রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন করা হবে। বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠার পর সামাজিক ভাতা বৃদ্ধি করে ২ হাজার টাকা করা হয়েছে। স্বচ্ছতার সাথে বর্তমান রাজ্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী এইদিন দাবি করেন এই উপনির্বাচনের মধ্যদিয়ে সিপিআইএম-এর আসন সংখ্যা কমে ১০ হয়ে যাবে। সিপিআইএম দলও বর্তমানে ক্ষয়িষ্ণু দল। ত্রিপুরা রাজ্যে অন্য কোন দল থাকবে না। মুখ্যমন্ত্রী এইদিন কংগ্রেস ও সিপিআইএম-এর জোটের তীব্র সমালোচনা করেন। মুখ্যমন্ত্রী এইদিন স্পষ্ট বলেন কাজের শেষ নেই। অনেক কাজ বাকি রয়েছে। সময় কম। কাজ করতে হবে। মানুষের অনেক সমস্যা। সেই সমস্যার সমাধান করতে হবে। আগের সরকার মানুষের সমস্যা জিইয়ে রেখে রাজনীতি করত। বর্তমান সরকার সমস্যা সমাধানের সরকার। বিভাজনের রাজনীতি বিশ্বাস করে না বর্তমান সরকার। পূর্বতন সরকার বিভাজনের রাজনীতি করত। জাতি জনজাতি সকলকে নিয়ে চলতে চায় বিজেপি।

মুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ বিজেপি সভাপতি ছারাও এইদিনের যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য যথাক্রমে সুশান্ত চৌধুরী, টিঙ্কু রায়, বিকাশ দেববর্মা, বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যানী রায়, প্রদেশ বিজেপির সম্পাদিকা পাপিয়া দত্ত, আগরতলা পৌর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার সহ অন্যান্যরা। এইদিনের যোগদান সভায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বিল্লাল মিয়া তিপ্রা মথা দল থেকে বহিষ্কৃত নেতা আবুল খায়েরের নেতৃত্বে প্রায় ১৯০০ পরিবারের আট হাজার ভোটার এইদিন বিরোধী দল ত্যাগ করে বিজেপি দলে যোগদান করেন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য