স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২১ আগস্ট : তান্ত্রিক আখ্যা দিয়ে স্ত্রী ও নাবালিকা কন্যা সহ এক ব্যাক্তিকে দফায় দফায় মারধর করে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার হুলিয়ে জারি করার অভিযোগ। প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে। সোমবার বিলোনীয়া থানায় মামলা করে আক্রান্ত পরিবার। ঘটনায় ঋষ্যমুখ ব্লকের রতনপুর এডিসি ভিলেজের শিবপুর ধনচন্দ্র পাড়ায়।
এলাকার বাসিন্দা ধর্মহরি ত্রিপুরা অভিযোগ মূলে জানা যায়, গত ১৪ আগষ্ট এলাকার কুশা ত্রিপুরা, সাবিত্রী ত্রিপুরা, লবা ত্রিপুরা সকাল ১০ টা নাগাদ ধর্মহরি ত্রিপুরা কে বাড়ি থেকে ডেকে প্রিয় মনি ত্রিপুরার দোকানে নিয়ে আসে। সেখানে একটি কাঁঠাল গাছের সঙ্গে বেঁধে তাদের মেয়েকে তন্ত্র মন্ত্র করে নষ্ট করার অপবাদ দিয়ে তাদের মেয়েকে সুস্থ করে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। এই তন্ত্র মন্ত্রের কিছুই জানেন না বলার সাথে সাথে ধর্মহরি ত্রিপুরাকে মারধর শুরু করে। ধর্মহরি চিৎকার শুনে স্ত্রী ও নাবালিকা কন্যা বাঁচাতে এলে তাদেরকেও মারধর করে বলে অভিযোগ।
বাড়ি ছেড়ে সপরিবারে চলে যাওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেয় এলাকার দুর্বৃত্তরা। আহত ধর্মহরি ত্রিপুরা নিজ বাড়িতে গিয়ে পার্শ্ববর্তী জনগণ কে ঘটনা জানায়। ১৫ আগষ্ট সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ অভিযুক্ত কুশা ত্রিপুরা ও সাবিত্রী ত্রিপুরার নেতৃত্বে ১০-১২ জন বাড়িতে এসে জোরপূর্বক দোকানের সামনে নিয়ে অমানুষিক ভাবে মারধর করে এবং তন্ত্র মন্ত্র দিয়ে তাদের মেয়ে কে সুস্থ করে না দিলে এলাকায় থাকতে দেবে না। এমন কি প্রাননাশের হুমকি দেয়। সেই দিন রাতে আহতরা এক বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে রাত যাপন করে। ১৭ আগষ্ট সকালে জোলাইবাড়ি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গেলে চিকিৎসকরা তাদের হাসপাতালে ভর্তি করে। চারদিন হাসপাতালে থাকার পর রবিবার তাদের ছুটি দিলে আহতরা নিজ বাড়িতে না গিয়ে মালুমবাড়ি এলাকার এক বাড়িতে রাত্রি যাপন করে। সোমবার ঘটনার সুষ্ঠ বিচার ও প্রান রক্ষার তাগিদে বিলোনীয়া থানায় ১১ জন অভিযুক্তের নাম ধাম জানিয়ে মামলা করে। এখন দেখার বিষয় অভিযুক্তদের পুলিশ জালে তুলে কিনা।