স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২১ জানুয়ারি : ত্রিপুরা রাজ্যের ইতিহাসে একটি মাইলস্টোন স্থাপন করল এ জি এম সি এবং জিবি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। পূর্ণ রাজ্য দিবস পাক লগ্নে গত ২০ জানুয়ারি জিবি হাসপাতালে উদয়পুরের ৪৬ বছর বয়সী মাধবী রাণী দাসের ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয়। রোগীর শ্বাসকষ্ট এবং হৃদরোগ ছিল। বহুদিন ধরে তিনি এই সমস্যায় জর্জরিত ছিলেন। জিবি হাসপাতালে আসলে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা তার হার্টে বেশ বড় ধরনের এট্রিয়াল ডিফেক্ট সনাক্ত করেন। তারপরেই শুরু হয় সার্জারির প্রস্তুতি।
প্রায় পাঁচ ঘণ্টা সময় ধরে হয় এই সার্জারি। বর্তমানে সেই রোগী সুস্থ রয়েছেন। আয়ুষ্মান প্রকল্পের আওতায় থাকায় বিনামূল্যে সার্জারির সুবিধা পেয়েছেন রোগী। এই অপারেশনটি হয় সি টি ভি এস এন্ড আই আর ডিপার্টমেন্টের কনসালটেন্ট এবং ইনচার্জ ডঃ কনক নারায়ণ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে। ১৫ জনের একটি টিম এই সার্জারি করে। শুক্রবার এ জি এম সি -তে সাংবাদিক বৈঠক করে এই বিষয়গুলি তুলে ধরেন এম এস ডঃ অভিষেক দেববর্মা। এদিন এছাড়াও ছিলেন ডঃ শঙ্কর চক্রবর্তী, ডঃ প্রফেসর মঞ্জুশ্রী রায়, ডঃ কনক নারায়ণ ভট্টাচার্য, ডঃ অনিন্দ্য সুন্দর ত্রিবেদী, ডঃ সুরজিৎ পাল। এম এস ডঃ অভিষেক দেববর্মা জানান এখনো পর্যন্ত ১২৪ টি সার্জারি করা হয়েছে। এন জি ও গ্রাম বসানো হয়েছে ২৪ টি, পেস মেকার ৯ টি, টেমপরারি পেস মেকার ৩ টি এবং ডায়ালেসিস রোগীর জন্য পাম্প মেশিন বসানো হয়েছে ৮০ টি, ডি এস এ ৭ টি। সবগুলিই সফল হয়েছে বলে জানান তিনি। রাষ্ট্রীয় বাল স্বাস্থ্য কার্যক্রমের অধীনে জন্ম গত হৃদ রোগের ত্রুটি সনাক্ত করণ প্রতি শুক্রবার করে করা হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত ৪৭ টি শিশুকে এই সনাক্ত করণ করা হয়েছে। তাদেরও ওপেন হার্ট সার্জারি করা হবে। তাদের বয়স শূন্য থেকে ১৮ বছর। ইকো কার্ডিওগ্রাফি করা হয়েছে ২০০ জনের। অল্টার সহ অন্যান্য পরিষেবা প্রদান শুরু হয়েছে। ৫০০ জন রোগীকে আউট ডোরে দেখা হয়েছে বলে জানান তিনি।