স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ আগস্ট : শনিবার মহারাজের বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুরের ১১৫ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দিনটি যথাযথ মর্যাদার সাথে উদযাপন করা হয়।
উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা বক্তব্য রেখে বলেন রাজ্যে শেষ মহারাজ ছিলেন বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুর। ২০১৮ সালের আগে রাজ্যে যে সরকার প্রতিষ্ঠিত ছিল তারা কখনো মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্যের ইতিহাস এবং আধুনিক ত্রিপুরা গড়ে তোলার যে পরিকল্পনা ছিল সেটা সামনে আনে নি। কিন্তু ২০১৮ সালে বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর আগের সরকারের মতো ভোট বাক্সের জন্য রাজনীতি না করে মহারাজের প্রতি যথাযথ সম্মানের ব্যবস্থা করা হয়।
এবং মহারাজের যে শান্তি সম্প্রীতি রাজ্যে বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন সেটা যাতে অটুট থাকে সেদিকে গুরুত্ব দিয়ে বর্তমান সরকার দায়িত্ব পালন করে চলেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে জনজাতিদের আরো বেশি উন্নয়নের কথা ভেবে অর্থ রাশি বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। আয়োজিত অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
মহারাজা বীর বিক্রম ওয়েলফেয়ার সোসাইটির পক্ষ থেকে শনিবার সকালে আগরতলা শহরে এক শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা। তিনি বলেন রাজ্যের শেষ মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুরের ১১৫ তম জন্মবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য আধুনিক ত্রিপুরায় রূপকার ছিলেন। মহারাজের চিন্তাভাবনার প্রতি সম্মান জানিয়ে বর্তমান সরকার কাজ করে চলেছে বলে জানান তিনি। পরবর্তী সময় মহারাজা বীর বিক্রম ওয়েলফেয়ার সোসাইটির পক্ষ থেকে বটতলা এলাকার শ্মশান ঘাটে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এদিন সারাদিন ব্যাপী যথাযথ মর্যাদার সাথে মহারাজার বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুরের জন্ম জয়ন্তী উদযাপন করা হয় সারা রাজ্যে।