স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ আগস্ট : শুক্রবার দশটি গরু সহ বোলেরো গাড়ি আটক করে বিলোনিয়া থানার পুলিশ। তারপরই শুরু হয় পাচারকারীদের সাথে গোপন লেনদেনের জন্য কথাবার্তা বলে অভিযোগ। বিলোনিয়া থানা থেকে ফোন করে ডেকে আনা হয় নেশাকারবারি গরু পাচার বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত রতন মিত্রকে। রতন মিত্রকে থানায় দেখতে পেয়ে সাংবাদিকরা যখন জিজ্ঞেস করে তখন তিনি জানান যে তাকে বিলোনিয়া থানা থেকে ফোন করা হয় কোন এক অফিসার মাধ্যমে তার পরবর্তী সময়ে তিনি থানায় আসেন।
সূত্রে জানা যায় যে রতন মিত্র ঋষ্যমুখ বিধানসভা কেন্দ্রের কিষান মোর্চার সভাপতি সুভাষ মিত্রের ছোট ভাই। এবং মতাই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মনোরঞ্জন বৈদ্যের স্নেহধন্য। যার সুবাদে মতাই হরিপুর এলাকা দিয়ে গরু পাচার করার ওপেন করিডর খুলে বসে আছে তারা। আর এর জন্য প্রতি গরুর পিছু নেয়া হচ্ছে টোল ট্যাক্স হিসাবে অর্থাৎ তোলা হিসাবে ৮০০ টাকা, যার মধ্যে ৩০০ টাকা পাচ্ছেন রতন মিত্র এবং ৫০০ টাকা চলে যাচ্ছে উপপ্রধান মনোরঞ্জন বৈদ্যের পকেটে। বর্তমান সময়ে অধিকাংশ শাসক দলীয় নেতাদের রয়েছে বলে জানা যায় বিভিন্ন সূত্র। পুলিশ এবং পাচারকারীদের মধ্যে কথোপকথনের সময় একটি দৃশ্য ধরা পড়ে সাংবাদিকদের ক্যামেরায়। যা দেখে যে কেউ লোক বলতে পারে পুলিশ এবং পাচারকারীদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। পুলিশ প্রশাসন তাদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বিকিয়ে দিচ্ছেন কিছু অর্থের জন্য চোরাচালানকারীদের কাছে। গরু পাচার বাণিজ্যের অন্যতম করিডোর এখন দক্ষিণ জেলা। জনসাধারণ থেকে দাবি উঠছে অতি দ্রুত দক্ষিণ জেলা থেকে গরু পাচার বাণিজ্যের মূল কান্ডারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলকভাবে শাস্তি দেয়ার ব্যবস্থা করার।