ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ জানুয়ারি : টি পি এস সি পরীক্ষায় বসে টি এফ এস- এর যোগ্যতা অর্জন করলেন চা বাগানের শ্রমিকের সন্তান অভিনাশ বিল। অভিনাশের সাফল্যকে শুভেচ্ছা জানাতে বৃহস্পতিবার মহাকরণে নিয়ে সংবর্ধনা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। এদিন সংবর্ধনা তুলে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন চা বাগানে কাজ করেও নিজ সন্তানকে তৈরি করে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় কিভাবে নিয়ে যাওয়া যায় তা করে দেখিয়েছে অভিনাশ।
চা বাগানের শ্রমিকের সন্তান টি পি এস সি পরীক্ষা দিয়ে সফল হয়ে টি এফ এস- এর যোগ্যতা অর্জন করেছেন। আর সেই সফল সন্তানকে সংবর্ধনা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার মহাকরণে ডেকে নিয়ে সদ্য টি এফ এস হওয়া অভিনাশ বিলকে শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তাঁর হাতে বাঁশের তৈরি একটি দুর্গা প্রতিমার মুখাবয়ব তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। পড়িয়ে দেন রিসা। পরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন রাজ্যের চা বাগান গুলিতে যে সমস্ত শ্রমিকরা কাজ করেন তাদের প্রতিনিধিত্ব করে অভিনাশ বিল। এমন একটা পরিবারের সদস্য হিসাবে কষ্টের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছেন। আর সেই পরিবারের সন্তান টি পি এস সি-র মাধ্যমে প্রথম বারই টি এফ এস হিসাবে যোগ্যতা অর্জন করেছে। এই সাফল্য সেই সমাজের জন্য বড় উদাহরণ। যারা ভাবে সারা দিন বাগান থেকে পাতা তুলে সন্ধ্যায় ঘুমিয়ে যাবেন ।
আবার পরবর্তী দিন সেই একই জীবনে চলবেন। তাদের জন্য বড় উদাহরণ তৈরি করেছে অভিনাশ। চা বাগানে কাজ করেও নিজ সন্তানকে তৈরি করে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় কিভাবে নিয়ে যাওয়া যায় তা করে দেখিয়েছে অভিনাশ। কর্মজীবনে ভাল ভাবে কাজ করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। চা বাগানের শ্রমিকদের সর্বাঙ্গীণ উন্নয়নের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের প্রকল্প গুলির মাধ্যমে আরও কিভাবে তাদের শহায়তা করা যেতে পারে, যাতে করে তাদের ঘড় থেকেও এই মেধাবীরা বেরিয়ে আসে তাঁর দায়িত্ব নিতে হবে অভিনাশকে। এতে করে তাদের জীবন মানের উন্নয়নে সহায়ক হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। মোহনপুর মহকুমার বামুটিয়ার বাসিন্দা অভিনাশ বিল তাঁর সাফল্যের বিষয়টি তুলে ধরেন। একই সঙ্গে তার স্কুল জিবন থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষা ও রোজগারের বিষয়ও অবগত করেন। নোটিফিকেশন দেখে পরীক্ষায় বসেন। যাতে করে তাদের সমাজ ও অন্যান্যরা অনুপ্রানিত হয়। সফল এই কৃতী জানান চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। সাফল্য আসবেই। স্বচ্ছ ব্যবস্থাই মানুষকে তাঁর অধিকার ও স্বাধীনতা দিতে পারে। যারা পরিশ্রম করে তাদের অধিকার এই ভাবেই সামনে এসে দাঁড়ায় বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। ত্রিপুরার গ্রামীন ও পিছিয়ে পড়া এলাকা গুলির মানুষ তাঁর এই সাফল্যে অনুপ্রানিত হবে বলেও আশা ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকার সেই দিশাতেই কাজ করছে বলে জানান তিনি।