স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ জানুয়ারি: করোনা সংক্রমণের পরিসংখ্যান রেকর্ড ভাঙার পর এবার মৃত্যুর রেকর্ড ভেঙে দিতে চলেছে রাজ্য। লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। সংক্রমনের তৃতীয় ঢেউ -এ রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। এবং সংক্রমিত হয়েছে ১১৮৫ জন। পশ্চিম জেলায় সংক্রমিত ৪৩৮ জন, সিপাহীজলা জেলায় ৪১ জন, গোমতী জেলায় ১৪৪ জন, খোয়াই জেলায় ৪৬ জন, দক্ষিণ জেলায় ১৫০ জন, ধলাই জেলায় ১২৮ জন, ঊনকোটি জেলায় ১৩১ জন, উত্তর জেলায় ১০৭ জন। নমুনা পরীক্ষা হয় ৮৭০৯ জনের।
রাজ্যে বর্তমানে সংক্রমণের হার ১৩.৬১ শতাংশ। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৭৬১৯ জন। অধিকাংশ রোগী হোম আইসোলেশনে থাকলেও ধীরে ধীরে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাসপাতাল এবং হোম আইসোলেশনে বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা জন। সংক্রমণের গতি রুখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জারি হয়েছে আরও কঠোর নির্দেশিকা। বৃহস্পতিবার থেকে নয়া নির্দেশিকা বলবৎ হয়। রাত ৮ টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত নৈশ কারফিউ জারি করা হয়েছে। কারণ শীত মরশুমে শহরের অলিগলিতে চলে পিকনিকের জমজমাট এবং এলাকার মাঠ গুলিতে রাতের বেলা ক্রিকেট ব্যাটমিন্টন খেলা হয়। এবং মদ জুয়ার আসর জমে বাজার হাট থেকে শুরু করে শহরের অলি-গলিতে। তাই সন্ধ্যার পর থেকে নৈশ কারফিউ জারি করে সংক্রমণ রুখতে কঠোর হয়েছে প্রশাসন। পাশাপাশি শপিংমল, সিনেমা হল, মাল্টিপ্লেক্স, বিনোদন পার্কের সামনে আড্ডার স্থান তৈরি হয় বলে এইগুলি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। এদিকে পিকনিক স্পট বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। আর পুর নিগম এলাকায় গণ সংক্রমণ দিকে এগুচ্ছে বলে আগরতলা পুর নিগম এলাকার সরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ কর্মী দিয়ে কাজ পরিচালনা করার নির্দেশিকা জারি হয়েছে। নির্দেশিকা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার এ এম সি এলাকার অফিস গুলিতে কর্মচারীর উপস্থিতি ছিল অনেকটাই কম। এখন দেখার বিষয় সরকার নয়া নির্দেশিকা জারি করে সংক্রমনের গতি কতটা রুখতে সক্ষম হয়।