স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৬ আগস্ট : গত কয়েক মাস আগে বিশালগড়ের দুঃসাহসিক ডাকাতির পর এবার কলমচৌড়ায় দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। বাড়ির লোকজনদের হাত-পা বেঁধে সর্বস্ব লুট করে নিয়েছে এক ব্যবসায়ীর পরিবারের। ঘটনা কলমচৌড়া থানাধীন মানিক্যনগর পূর্ব পাড়ার উওম সাহার বাড়িতে।
উত্তম সাহা জানান, শনিবার রাত তার পরিবার প্রতিদিনের মতো খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু রাতের বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ রান্নাঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে ডাকাতের দল। বাড়ির লোকজনদের হাত পা বেঁধে ঘরের লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণালংকার সহ নগদ অর্থ নিয়ে যায়। এবং ডাকাতি করার সময় ডাকাতের দল বাড়ির লোকদের হাত-পা বেঁধে ছুরি, বুজালি, পিস্তল সহ বিভিন্ন অস্ত্র দেখিয়ে হুমকি-ধমতিও দেয়। এবং উত্তমের কাকি শাশুড়ি এবং ছোট ভাইকে মারধর করে ডাকাতের দল।
দীর্ঘ দুই থেকে আড়াই ঘন্টা যাবত এই ডাকাতের দল ঘরে সমস্ত কিছু লন্ডভন্ড করে জানতে চায় আরো কি রয়েছে তা দেওয়ার জন্য। শেষ পর্যন্ত বাড়ির গাড়ির দুটি চাবি, কাপড়, মূল্যবান জিনিসপত্র ও যাবতীয় নথিপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। রাস্তায় বের হয়ে এলাকায় কয়েকজন সবজি বিক্রেতাদের রাস্তায় পেয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। এবং হিন্দি ভাষায় তাদের সেখান থেকে চলে যেতে বলে। এলাকাবাসী মুখ বাধা অবস্থায় তিনজনকে বিএসএফ জওয়ান মনে করে কোন কথা না বলে বাড়ি চলে যায়। পরবর্তী সময় তারা বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি থামানো গাড়ি দিয়ে দক্ষিণ দিকে রওনা হয়। তারপর বাড়ির লোকজনেরা চিৎকার করে ঘর থেকে বের হয়ে আসলে এলাকাবাসী এগিয়ে আসে। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পরে কলমচৌড়া থানার পুলিশ রাত ৩ টার নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। খবর লেখা পর্যন্ত পুলিশ কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে এই কাপড় ব্যবসায়ীর বাড়িতে এ ধরনের দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এর আগেও আগরতলা শহরে এবং বিশালগড়ে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। কিন্তু কি ভাবে এই ধরনের ডাকাতির ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে পুলিশ প্রশাসন ঠুঁটু জগন্নাথ। স্থানীয়দের বক্তব্য তাহলে কি ভারত বাংলাদেশের সীমান্ত সুরক্ষিত নয়, নাকি স্থানীয় নেশাখোররা এ ধরনের ঘটনা সংগঠিত করছে। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে মানুষ।