স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৫ আগস্ট : মেলাঘর লাল মিয়া চৌমুহনি সংলগ্ন ইন্দিরা নগর ২ নং অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে বহিরাগত মহিলাকে চাকরি দেওয়ায় প্রতিবাদে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখায় এলাকাবাসী। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ মেলাঘর থেকে সোনামুড়া মূল সড়কের লাল মিয়ার চৌমুহনি থেকে সামান্য একটু দূরে একটি অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার রয়েছে। যদিও সেটি মেলাঘর দুই নম্বর ওয়ার্ড অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার নামে পরিচিত। কিন্তু বর্তমানে পুর সভা হওয়া মেলাঘর সাত নম্বর ওয়ার্ডে এই অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারটি পরিবর্তন করেনি।
দীর্ঘদিন আগে এই অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের শিক্ষিকা ও হেল্পারের চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার ফলে নতুন ভাবে অঙ্গনওয়াড়ি শিক্ষিকা নিয়োগ করা হয় সাত নম্বর ওয়ার্ডের এক মহিলাকে। শিক্ষিকার অফারকে কেন্দ্র করে কোন সমস্যা তৈরি না হলেও হেল্পার পূর্ণিমা দাসকে নিয়োগ করা হয়েছে। এবং শনিবার যখন হেল্পার পূর্ণিমা দাস অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে প্রথম কাজে যোগদান করতে আসেন, তখন পার্শ্ববর্তী বাড়ি ঘরের মহিলারা অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার তালা লাগিয়ে দেন। কারণ ওই সাত নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা মেলাঘর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান গুরুপদ রায় অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের আশেপাশের কোন এক মহিলাকে বৈঠকের মাধ্যমে হেল্পারের নিয়োগের কথা বলেছিল। সেই সূত্রে পার্শ্ববর্তী বাড়ির ওই মহিলাটি ইন্টারভিউ দিয়েছিল। কিন্তু আজকে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের হেল্পার হিসেবে পূর্ণিমা দাস আসেন তখন পার্শ্ববর্তী বাড়ি ঘরের মহিলারা অবাক হয়ে যান। কারণ কথা ছিল সেন্টারের সংস্পর্শে থাকা এক মহিলাকে হেল্পার হিসেবে নিয়োগ করা হবে এবং সেন্টারের জায়গার মালিক পরামর্শ ক্রমে সেন্টারের সংস্পর্শে থাকা আবুল বসার স্ত্রী নাজমা বেগমকে হেল্পার হিসাবে নিয়োগ করার কথা ছিল। কিন্তু শনিবার পূর্ণিমা দাস হেল্পার হিসাবে কর্মস্থলে আসলেও তার হাতে ছিল না কোন নিয়োগপত্র। আর এর জন্য স্থানীয় মহিলারা স্থানীয় কাউন্সিলর এবং মেলাঘর পৌরসভার বাইস চেয়ারম্যান গুরুপদ রায় উপর একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। স্থানীয় মহিলারা বলেন অবিলম্বে আবুল বসার স্ত্রী নাজমা বেগমকে এই অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের হেল্পার হিসেবে নিয়োগ করতেই হবে। আর নাহলে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে তালা ঝুলে থাকবে। মহিলারা অভিযোগ করেন অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের শিক্ষিকা নিয়োগ করা হয়েছে, এদের তাদের কোন সমস্যা নেই। কিন্তু ভাইস চেয়ারম্যান বৈঠকের নাজমা বেগমের কথা বলে কি করে পূর্ণিমা দাস কে হেলপার হিসেবে নিয়োগ করলেন তা নিয়ে বিরাট রহস্য রয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।