স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১ আগস্ট : ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশানে দুই গোষ্ঠীর ঝামেলার জল গড়াল উচ্চ আদালত পর্যন্ত। এসোসিয়েশানের অচলাবস্থা কাটাতে আদালত বুধবার সকল পক্ষকে আদালতে সশরীরে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। কারণ ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশানের একটা সময় যথেষ্ট সুনাম ছিল। কিন্তু গত কয়েকদিনে কলঙ্কিত হয়েছে ত্রিপুরা ক্রিকেট স্টেশন।
কিছুদিন পূর্বে টিসিএ-র নির্বাচনকে কেন্দ্র করে টানটান উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সম্পন্ন হয়। নির্বাচনের পর কয়েকমাস যেতে না যেতেই দুই গোষ্ঠীর লড়াই চূড়ান্ত আকার ধারন করে। টিসিএ-তে এমন অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়ে যেখানে মহকুমা প্রশাসনকে দাড়িয়ে থেকে টিসিএ-র তালা ভাঙ্গতে হয়। এইখানেই শেষ নয় পরবর্তী সময় টিসিএ-অফিসের সামনে বহিরাগতদের দ্বারা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয় সহসভাপতি সহ বেশ কয়েকজন পদাধিকারিকে। রীতিমতো সেখানে অস্ত্রের ঝলকানিও প্রত্যক্ষ করে রাজ্যবাসী।
কিন্তু রাজ্যের খাকি উর্দিধারি পুলিশ এখনো পর্যন্ত সেই যুবককে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ। এইদিকে টিসিএ-র অচলাবস্থা জারি রয়েছে। ফলে খেলা ধুলা একেবারে থমকে গেছে। এই পরিস্থিতিতে টিসিএ-র অচলাবস্থা কাটাতে দুই আজীবন সদস্য উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়। সোমবার উচ্চ আদালতে এই নিয়ে প্রাথমিক শুনানি হয়। সকল পক্ষ তাদের বক্তব্য সেখানে তুলে ধরে। টিসিএ-এর সচিব, সহসভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ-র হয়ে উচ্চ আদালতে সাওয়াল করেন আইনজীবী শঙ্কর লোধ। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান অনেকে অনেক বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। উচ্চ আদালতের বিচারপতি সকলের বক্তব্য শুনার পর নির্দেশ দিয়েছেন বুধবার টিসিএ-র সকল অফিস বিয়ারারদের সশরীরে আদালতে উপস্থিত থাকার জন্য। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য। একই সাথে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়া দুই আজীবন সদস্যকেও বুধবার উচ্চ আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আইনজীবী শঙ্কর লোধ আরও জানান টিসিএ-র সহসভাপতি যেইদিন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, সেই দিন তারা পুলিশকে জানিয়ে টিসিএ অফিসে গিয়েছিল। পুলিশের সামনে তাদের উপর আক্রমণ করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ কোন কিছু করে নি। সে যাইহোক টিসিএ-র অচলাবস্থা কাটাতে শেষ পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করেছে উচ্চ আদালত।