স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ জানুয়ারি : তিন বছর আট মাসের সরকার চলছে। জনজাতিদের সংস্কৃতি এবং পরম্পরার মিলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আগে কোন আর্থিক সহায়তা করা হয়নি। রাজ্যের জনজাতিদের আর্থ সামাজিক জীবনমান বিকাশে ১৩০০ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ সহ গুচ্ছ ইতিবাচক পদক্ষেপ সফলভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। বুধবার শিক্ষা দপ্তরের অধীন ককবরক ও অন্যান্য সংখ্যালঘু ভাষা অধিকার অধিকর্তা এবং উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের অধীন উপজাতি গবষেনা ও সংস্কৃতি কেন্দ্রের আহ্বানে বুধবার রাজধানীর রবীন্দ্র ভবনে অনুষ্ঠিত হয় ৪৪ তম ককবরক দিবসে এমনটাই বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
এবারের ভাবনা মাতৃ ভাষাকে সম্মান জানাই। এদিন ফুল গাছে জল দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব সহ অন্যান্য অতিথিরা। ককবরক ভাষার প্রতি সম্মাননা স্বরূপ গন্ডাছড়ার নাম পরিবর্তন করে- গন্ডা তুইসা এবং আঠারমুড়ার নাম পরিবর্তন করে হাচুক বেরেম করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে ডম্বুর ভ্রমণের মাধ্যমে ও সড়ক পথে রাজ্যে আগত যাত্রীদের কাছে এই দুই জায়গার নতুন নামাকরণ অনায়াসে বিশ্ব আঙিনায় পৌঁছে যাবে। এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন মাতৃ ভাষার পাশাপাশি নিজস্ব কৃষ্টি-সংস্কৃতি-পরম্পরাকে সঙ্গে নিয়ে ককবরক ভাষা সহ অন্যান্য ভাষার চৰ্চা দ্বারা লব্ধ অভিজ্ঞতা নিজেদের সমৃদ্ধতর করার পথ সুগম করার সহায়ক।
নিজের ভাসার পাশাপাশি অন্য ভাষাকেও সম্মান জানাতে হবে। সমস্ত ভাষাকে শিখতে হবে। চেষ্টা করলে সফলতা আসবেই। আগে চেষ্টা করা হতই না। তারা নিরাসায় ভরপুর ছিল। মাতৃ ভাষায় মনের ভাব সব চাইতে বেশী আসে। স্ব শক্ত ত্রিপুরা, সমৃদ্ধ ত্রিপুরা গড়ার ক্ষেত্রে ভাসার সঙ্গে সঙ্গে কৃষ্টি সংস্কৃতিতে ধরে রাখারা আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। অনেক গুলি ভাষার লিপি নেই। বড় মাত্রায় ককবরক ও বাংলা ভাষাভাষীর মানুষ বেশী। বাংলা ভাষাভাষী মানুষদের ককবরক ভাষা সেখা উচিৎ বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। সম ভাব ও মানসিকতা নিয়ে চলার আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে জাতীয় শিক্ষা নীতির সংশোধনী দ্বারা মাতৃ ভাষায় শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ সুনিশ্চিত হয়েছে। ৪৪ তম ককবরক দিবস অনুষ্ঠানে প্রথম বারের মত আত্মপ্রকাশ হয় টিচার্স হ্যান্ডবুক সহ অন্যান্য প্রকাশনা। মুখ্যমন্ত্রী সহ মঞ্চে উপবিষ্ট অতিথিরা মোট ৮ টি বই ও দুটি ম্যাগাজিনের প্রকাশ করেন। এই বই গুলি ককবকর ভাষার প্রসার ও শিক্ষা প্রদানে অগ্রণী ভূমিকা নেবে বলে আশা ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া, মন্ত্রী রতন লাল নাথ সহ প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।