স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৮ জুলাই : সোনামুড়া মহকুমার ধানপুরের বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে সরকারি ভাবে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬২ জন। জানা যায়, বাংলাদেশে ডেঙ্গু মারাত্বক রূপ ধারণ করেছে। আর বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা ধনপুর বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২ সপ্তাহ যাবৎ বাড়ছিল জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। যদিও প্রথমে বিষয়টিকে তেমন পাত্তা দেয়নি স্বাস্থ্য প্রশাসন ও সাধারণ মানুষ।
চিৎসকদের ধারণা ছিল টাইফয়েড। এরপর ধনপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসা রোগীদের মধ্যে শুরু হয় ডেঙ্গুর এন্টিজেন টেস্ট। পরে আরো নিশ্চিত হওয়ার জন্য এলাইজ টেস্টের জন্য সেম্পল পাঠানো হয় এ.জি.এম.সি-তে। গত সোমবার এই জ্বর যে ডেঙ্গু তা নিশ্চিত হয় চিকিৎসকরা। এরপরও একপ্রকার চলছিল বিষয়টিকে ধামাচাপাদেওয়ার প্রায়শ। কর্মরত সাংবাদিকরা বহু চেষ্টা করেও স্বাস্থ দপ্তরের কারোর মুখ থেকে বিষয়টির সত্যতা বের করে আনতে পারেননি। অবশেষে গতকাল রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক। ততক্ষনে ধনপুরের বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬২ জন। ধনপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ইনচার্জ ডাক্তার সুমন্তিকা দাস জানান, গত ২২ জুলাই থেকে ডেঙ্গুর পজেটিভ রোগী সনাক্ত হয়। ৭ দিনে ৬২ জন পজিটিভ রোগের শনাক্ত হয়।
এলাকার বেশিরভাগ বাড়িতেই কেউ না কেউ জ্বরে আক্রান্ত। স্বাস্থ্য প্রশাসনের একটি টিম এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এলাকার বহু রাবার বাগানে বৃষ্টির জল জমে মশার বংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ডেঙ্গু সবচেয়ে বেশি থাবা বসিয়েছে ধনপুর কলনি, ইন্দুরিয়া প্রভৃতি এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে চিকিৎসকদের দল প্রতিদিন আসছে ধনপুরে। বাড়িতে যেন আবর্জনা ও জমা জল না থাকে সেই বিষয়ে সচেতনতার থাকতে জানান ধনপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ইনচার্জ। তবে প্রশাসন প্রথম থেকে সতর্ক না থাকায় এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে এন্টি লাভা স্প্রে না দেওয়ায় গোটা এলাকায় এখন ডেঙ্গু বিস্তার করেছে। কাবু সাধারণ মানুষ।