স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৫ জুলাই : লোকসভা নির্বাচনের আগে ত্রিপুরায় ঝরে গেল জোড়া ফুল। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের ৫ দিনের মধ্যেই ত্রিপুরা তৃণমূল গুরু দায়িত্ব অর্থাৎ প্রদেশ সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছিলেন প্রবীণ আইনজীবী পীযুষ কান্তি বিশ্বাস। কিন্তু সভাপতি হয়ে মাত্র আট মাসের মাথায় মঙ্গলবার শ্রী বিশ্বাস তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্ব সহ দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করলেন। মঙ্গলবার সকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে তিনি চিঠিতে লিখেছেন ‘‘আমাকে ত্রিপুরা তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ার জন্য দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ।’’
তিনি গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে দলের উপর থেকে আস্তা হারিয়েছেন। তিনি হারে হারে টের পেয়ে গিয়েছেন নির্বাচন আসলেই ত্রিপুরায় ভোট পাখি হয়ে আসবে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব, ভোট গেলে তাদের কোন দেখা পাওয়া যায় না। এবং দল চালাতে গিয়ে কোন ধরনের সহযোগিতাও পায়না প্রদেশ নেতৃত্ব। একইভাবে পীযূষ কান্তি বিশ্বাস সহযোগিতা পায়নি। যা রাজ্য রাজনীতিতে ইমেজের খেলা হয়ে উঠেছে পীযূষ কান্তি বিশ্বাসের জন্য। কিন্তু তিনি পদত্যাগ করে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এদিন বলেন, তৃণমূল ছাড়লেও অন্য কোনও দলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘‘পারিবারিক এবং ব্যক্তিগত কারণেই কিছু দিন রাজনীতির থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে জল্পনা কল্পনা। যেহেতু কংগ্রেস ছেড়ে তিনি ত্রিপুরা ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট এবং তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে বেশি দিন স্থায়ী হয়নি তাই পুনরায় ফিরতে পারেন কংগ্রেসে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে তৃণমূল কংগ্রেস বিধানসভা নির্বাচন লড়তে নেমে ত্রিপুরার ৬০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে মাত্র ২৮ টিতে প্রার্থী দিতে পেরেছিল। ফলাফলে দেখা গেছে ‘নোটা’ -এর চেয়েও কম ভোট পেয়েছিলেন জোড়াফুল প্রতীকের প্রার্থীরা। ২০২১ সালের নভেম্বরে আগরতলা পুর নিগমের ভোটে দ্বিতীয় স্থানে ছিল তৃণমূল। কুড়ি শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন জোড়া ফুল শিবির।