স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ জুলাই : ২৪ ঘন্টা আগে দেখা গেছে মুখ্যমন্ত্রী গোমতী জেলার একটি বিদ্যালয়ের মিড ডে মিল খাবারের গাফিলতির জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে বিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু এর রেশ কাটতে না কাটতেই মিড ডে মিল খাবার নিয়ে আবারো চরম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে গন্ডাছড়া মহকুমা থেকে। জানা যায়, বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের মাধ্যমে গন্ডাছড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে নতুন পাকা বাড়ি নির্মাণের জন্য হাউজিং বোর্ডের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ করা হয়।
কাজের বরাত প্রাপ্ত এজেন্সি গণ্ডাছড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে এসে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জায়গা বুঝে নেয়। পরবর্তী সময় গণ্ডাছড়া ইংলিশ মিডিয়াম এস বি স্কুলের মিড ডে মিলের রান্নার ঘর নির্মাণের সময় কিছুটা নষ্ট হতে পারে বলে অবগত করে। কিন্তু পরিবর্তে সেই নির্মাণ আবার করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। অথচ নির্মাণের আগে ঠিকেদার মর্জি মাফিক পাঁচ থেকে ছয় হাত জায়গার পাকা বাড়ির অংশ ভেঙ্গে ফেলা হয়। ঠিকাদার বুল ডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় মিড ডে মিলের ঘর। এই খবর পেয়ে বুধবার স্কুলে ছুটে যান ডুম্বুরনগর বিদ্যালয় পরিদর্শক থৈসা মগ। পরিদর্শন করেন স্কুলের যাবতীয় নির্মাণ কাজ। তিনি পরিদর্শন শেষে জানান স্কুলের রান্না ঘরের চার ভাগের দুই ভাগ ঠিকেদার মর্জি মাফিক ভেঙ্গে ফেলেছে। এজেন্সির সঙ্গে কথা বলেন ডুম্বুরনগর বিদ্যালয় পরিদর্শক থৈসা মগ।
এজেন্সিকে অনুরোধ করেন মিড ডে মিল রান্নার জন্য অস্থায়ী শেড করে দেওয়ার জন্য। এই ক্ষেত্রে এজেন্সি স্পষ্ট করে তাদের ঘড় নির্মাণ করা যাবে না বলে জানিয়ে দেন। বিষয়টি জেলা পরিদর্শকের নজরে নেন ডুম্বুরনগর বিদ্যালয় পরিদর্শক থৈসা মগ। তিনি স্পষ্ট করে জানান এই বিষয়ে কোন সুরাহা না হলে আগামী দিনে স্কুলে মিড ডে মিল রান্না করা সম্ভব হবে না। বন্ধ হয়ে পড়বে মিড ডে মিল পরিষেবা। সরকারী ভাবে কোন আর্থিক সহায়তা না থাকায় নতুন করে ঘড় নির্মাণ সম্ভব নয়। একটি ভালো রান্না ঘড় এবাবে ভেঙ্গে ফেলায় আগামী দিনে স্কুলের ৪০০ জন ছাত্র ছাত্রী মিড ডে মিল পরিষেবা থেকে বঞ্জিত হবেন তা এক প্রকার স্পষ্ট। অন্যদিকে ঠিকেদারের এই ভূমিকায় ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। তবে প্রশ্ন হল ঠিকাদার কেন গায়ের জোরে এভাবে মিড ডে মিলের ঘরটি ভেঙে ফেললেন। এর পেছনে ঠিকাদার কে কে নজর দিয়েছে সেটা বের হয়ে আসতে পারে সুষ্ঠু তদন্তে।