স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ জুলাই : স্বামী ও স্বামীর তিন ভাই মিলে গৃহবধূকে মারধর করে রাস্তায় ফেলে রাখার অভিযোগ। দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে গৃহবধূকে। অভিযুক্ত স্বামীর তিন ভাই রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত। পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বুধবার এই ঘটনার সাক্ষী রইল বিশালগড় বাসী। জানা যায়, স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের খবর পেয়ে বাপেরবাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়িতে যায় এক গৃহবধূ। কিন্তু আক্রান্ত হয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের হয়ে আসতে হলো গৃহবধুকে। ঘটনা বিশালগড় থানাধীন গোপীনগর এলাকায়। অভিযোগ, পুটিয়ার তাঞ্জিনা আক্তারকে তিন বছর আগে বিয়ে করেছিলেন বিশালগড় গোপীনগরের মুস্তফা আলি। বিয়ের পর থেকেই স্বামী গৃহবধূ তাঞ্জিনা আক্তারের উপর নাকি নির্যাতন করত।
এ নিয়ে গ্রামে সালিশি সভাও হয়। কিন্তু স্বামীর নির্যাতন বন্ধ না হওয়ায় বাপেরবাড়ি চলে যান গৃহবধূ। বুধবার খবর পায় স্বামী নাকি তার ভাইয়ের সহযোগিতায় দ্বিতীয় বিয়ে করে ফেলেছে। সেই খবর পেয়ে গৃহবধূ বাপের বাড়ি থেকে ছুটে যায় স্বামীর বাড়িতে। অভিযোগ তখনই স্বামী সহ ভাসুর ও দেবর মিলে গৃহবধূকে মারধর করে রাস্তায় ফেলে রাখে। অভিযুক্তরা হল স্বামী মুস্তফা আলি, জাকির হোসেন, মমিন মিঞা ও ময়নাল হোসেন। তারা সকলে রাজ্য পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং আর্মি জওয়ান। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে দমকল কর্মীরা মহিলাকে উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্ত স্বামী ও তার দুই ভাই দমকল কর্মীর উপর আক্রমণ করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। দমকল কর্মীরা গিয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে বিশালগড় হাসপাতালে নিয়ে আসেন। বিশালগড় মহিলা থানার পুলিশ গিয়ে তিন ভাইকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে কোনভাবে বন্ধ হচ্ছে না নারী নির্যাতনের মত অপরাধমূলক ঘটনা। যা সমাজের অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেনার পেশা নিয়োজিত হয়েও স্ত্রীকে নির্যাতন করতে দ্বিধাবোধ করছে না খাকি উদ্দি পড়া স্বামীও।