স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ জুলাই : অর্থের বিনিময়ে বাঁকা পথে বের হয়ে যাচ্ছে পি.আর.টি.সি। এ নিয়ে গুরুতর অভিযোগ তুলল এন.এস.ইউ.আই। এবং এই ভুয়া পি.আর.টি.সি -র মধ্যে স্বাক্ষর রয়েছে প্রশাসনিক আধিকারিকের। তাই শনিবার এন.এস.ইউ.আই -র একটি প্রতিনিধি দল কড়া নাড়লো পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপারে। এন.এস.ইউ.আই -র রাজ্য সভাপতি সম্রাট রায় জানান, সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ত্রিপুরার জন্য ৭০০ টি শূন্যপদ রয়েছে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রক নিয়োগের ক্ষেত্রে পি.আর.টি.সি বাধ্যতামূলক করেছে। যাতে এক রাজ্যের শূন্য পদ অন্য রাজ্যের যুবক যুবতীরা দখল করতে না পারে। কিন্তু অন্য রাজ্যের সেনাবাহিনীর চাকুরি পরীক্ষায় ফেল করে আবার ত্রিপুরা রাজ্যে ভুয়া পি.আর.টি.সি বের করে ইন্টারভিউ দিতে আসছে বহু যুবক বলে অভিযোগ। অন্যান্য রাজ্যের যুবক অর্থের বিনিময়ে ত্রিপুরার পি.আর.টি.সি করে এস.এস.সি -র জিডি ২০২২-২৩ সালের পরীক্ষার জন্য দরখাস্ত জমা দিয়েছেন। আগামী ১৭ জুলাই থেকে শুরু হবে মেডিকেল পরীক্ষা। যাদের এ ধরনের অবৈধ পি.আর.টি.সি সহ দরখাস্ত জমা পড়েছে তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে এদিন এন.এস.ইউ.আই -র এক প্রতিনিধি দল জেলা পুলিশ সুপারের উদ্দেশ্যে ডেপুটেশন প্রদান করেন। অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানান। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হবে বলে জানান। উপেন্দ্র কুমার যাদব নামে এক যুবকের নথি তুলে ধরে বলেন সে বহিঃরাজ্যের চাকরির জন্য আবেদন করেছে, আবার ত্রিপুরাও পি.আর.টি.সি বের করে আবেদন করেছে। তার বাড়ি বিহারে। তেলিয়ামুড়া মহকুমা শাসক অফিস থেকে এই পি.আর.টি.সি তৈরি করা হয়েছে বলে জানান সম্রাট রায়।