স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ জুলাই : চলতি বছর চাহিদার তুলনায় অধিক ইউনিট রক্ত সংগ্রহ হয়েছে। এবং রাজ্য জনসংখ্যা অনুযায়ী রক্ত দানের ক্ষেত্রে প্রায় শীর্ষস্থানে রয়েছে বলা যায়। সকল অংশের মানুষ রক্তদানে এগিয়ে আসছে। যে ঘাটতি ব্লাড ব্যাংক গুলির মধ্যে ছিল তা পূরণ হয়ে গেছে। আগামী দিনে যদি রাজ্যের বাইরে রক্তের প্রয়োজন হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলে রাজ্যের বাইরেও রক্ত পাঠানোর জন্য।
শনিবার কমলপুর মানিকভান্ডার প্লে সেন্টারের উদ্যোগে এক মেগা রক্তদান শিবিরে এই কথা বললেন সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা। তিনি আরো বলেন রাজ্যে ৪০ হাজার ইউনিট রক্তের প্রয়োজন হয়। কিন্তু ২ শতাংশ অধিক রক্ত সংগ্রহ হয়েছে। এবং সার্বিক দিকে ত্রিপুরা এগিয়ে চলেছে বলে দাবি করেন সাংসদ। কিন্তু সবচেয়ে বড় বিষয় হলো রাজ্যে ব্লাড ব্যাংক গুলির মধ্যে প্রতিদিন অসহায় হয়ে রক্তের জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছে রোগীর পরিজন। হচ্ছে না রক্তের ব্যবস্থা। বহু জায়গায় ফোন করে এবং সহযোগিতা চেয়ে যদি রক্তের জোগাড় হয় তাহলে বেঁচে যাচ্ছে রোগী, না হলে রক্তের অভাবে মৃত্যুর অভিযোগ উঠছে বিগত দিনে। আবার কখনো কখনো দেখা যায় ব্লাড ব্যাংক গুলির মধ্যে গিয়ে অন্য গ্রুপের রক্তের ডোনারকে দিয়ে রক্ত সংগ্রহ করতে হচ্ছে রোগীর পরিজনদের। আর এই মুহূর্তে এক মেগা রক্তদান শিবিরে দাঁড়িয়ে সাংসদ দাবি করছেন রক্তের কোন ঘাটতি নেই রাজ্যে। মুখ্যমন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে রক্তদানে সকলে এগিয়ে আসছে।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে মুখ্যমন্ত্রীর কথা বলার জন্য বলবেন। যদি রক্তের প্রয়োজন হয় তাহলে রাজ্য থেকে বাইরে রক্ত পাঠানোর। এই বক্তব্যটি সংসদের মুখ থেকে শুনে বহু রোগী পরিজন এবং সাধারণ মানুষের মনে দাগ কাটতে শুরু করেছে। কারণ ব্লাড ব্যাংক গুলির মধ্যে গিয়ে চিৎকার করলেও রোগীর পরিজনের মিলছে না রক্ত। হয়তো মন্ত্রী সাংসদরা যদি হাসপাতালে ব্লাড ব্যাংক গুলি পরিদর্শন করেন তাহলে চাক্ষস করবেন মানুষের অসহায়ত্ব। মেগা রক্তদান শিবিরে এছাড়াও ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়া মন্ত্রী টিঙ্কু রায়, বিধায়ক মনোজ কান্তি দেব ও স্বপ্না দাস, মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট এল ডারলং, দূর্গা চৌমুহনি পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান শম্পা দাস সহ অন্যান্যরা। এদিন আয়োজিত রক্তদান শিবিরের পর বিভিন্ন রক্তদাতা সংস্থাকে মেমেন্টো দিয়ে সম্বর্ধনা জানানো হয়।