স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৪ জুলাই : সাত সকালে কল্যাণপুর থানা এলাকায় পরপর দুটি মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রথম মৃতদেহটি উদ্ধার হয় কল্যানপুর থানাধীন উত্তর মহারানীপুর এডিসি ভিলেজের গোবিন্দ চৌধুরী পাড়ায়। মৃত ব্যাক্তির নাম বীরেশ কুমার দেববর্মা। বয়স ২৪ বছর। নিজ বাড়ি থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে পুকুরের পাড়ে যুবকের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানায় মৃতদেহের মাথা সহ শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পরিকল্পিতভাবেই এই খুন সংঘটিত হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে কল্যাণপুর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়না তদন্তের পর মৃতদেহ পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এলাকাসূত্রে খবর মৃত যুবক বীরেশ কুমার দেববর্মা এলাকার বাসিন্দাদের সাথে তেমন ভালো সম্পর্ক নেই। ইতিপূর্বে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত ছিল। অত্যাধিক নেশাগ্রস্থ থাকতো বলেও খবর। ঘটনা ঘিরে এলাকাজুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ও গুঞ্জন তৈরি হচ্ছে। এই মৃত্যুর পেছনে কি রহস্য থাকতে পারে তা এখন দেখার বিষয়।
পুলিশের দাবি সব দিক তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশের সার্বিক তদন্ত এবং ময়না তদন্তের রিপোর্টের পরেই মৃত্যুর আসল রহস্যের উন্মোচন হবে। মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জানান ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের কারণে খুন হয়েছে বীরেশ কুমার দেববর্মা। পুলিশ সৌন্দর জনক ভাবে বীরেশ বড় ভাই সহ আরো একজনকে আটক করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অপরদিকে কল্যাণপুর থানারই অন্তর্গত উত্তর ঘিলাতলী অধুনিয়া রবীন্দ্র চৌধুরী পাড়ায় পুকুরের জলে এক নিখোঁজ ব্যাক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। শুক্রবার সকালে পথচারীদের নজরে আসে পুকুরের জলে মানুষের দেহ ভাসছে। সাথে সাথেই কল্যানপুর থানার পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ অকুস্থলে পৌঁছে পুকুরের জল থেকে দেহ উদ্ধার করে। সনাক্ত হয় মৃতদেহটি। নাম সূর্যমনি দেববর্মা। বয়স ৬৫ বছর। জানা গেছে সূর্যমনি দেববর্মা বৃহস্পতিবার সকালে কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে নি।
বহু জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও উদ্ধার করতে পারেনি পরিবারের লোকজনেরা। শুক্রবার সকালে নিজ বাড়ির পুকুরেই তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের ধারনা কাজ শেষে পুকুরের জলে স্নান করতে গিয়েই কোনো ভাবে পড়ে মৃত্যু হয়েছে তার। ঘটনার খবর চাউর হতেই গোটা এলাকা জুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। কল্যানপুর হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে মৃতদেহ পরিজনদের হাতে তুলে দেয়া হয়। পুলিশ এব্যাপারে অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা হাতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। একই থানায় পরপর দুইটি মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।