Friday, February 7, 2025
বাড়িরাজ্যপৌষ সংক্রান্তির পিঠেপুলির উৎসব

পৌষ সংক্রান্তির পিঠেপুলির উৎসব

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৪ জানুয়ারি : বাংলায় পৌষ সংক্রান্তি মানে পিঠেপুলি। খেজুর রস বা চিনির রস-দুধ-নারকেল কোরা দিয়ে সযত্নে তৈরি হয় পিঠের স্বাদে সদাই মিষ্ট। বাঙালি পিঠে খেতে ভালবাসে, খাওয়াতেও ভালবাসে। পিঠেকে কেন্দ্র করে গ্রাম বাংলায় ব্যাপক আয়োজনের সাড়া পড়ে প্রতিবছরই। চিতল পিঠে তৈরির জন্য মাটির সরা তৈরি করা হত, চালে গুঁড়ো করার জন্য মেয়েরা মিলে ঢেঁকিতে চাল কুটত।

পাশাপাশি খেজুর রস সংগ্রহ থেকে গুড় তৈরি পর্যন্ত ইতিহাস তো রীতিমতো এক কাব্য। পিঠের আর-এক সঙ্গী হল নারকেল। আর চাই দুধ। চালের গুঁড়ো, খেজুরের গুড়, দুধ ও নারকেল কোরা সহযোগে তৈরি হয় নানান ধরনের পিঠে। পৌষসংক্রান্তি যদিও বিশেষ দিন।  পিঠে নিজেই এক আস্ত উৎসব! বিশেষ কিছু পিঠের মধ্যে অন্যতম বিনি বা বেনি পিঠে, চালেরগুঁড়ি সেদ্ধ করে আটার মতো মেখে বিনুনির আকারে গড়ে এই পিঠে তৈরি হয়। এ ছাড়া আছে সিমুই পিঠে, পুলি পিঠে, ঝিনুক পিঠে, চিতল পিঠে, নকশাই পিঠে, মালপোয়া পিঠে, রস-চিতল পিঠে, সূর্যমুখী পিঠে, চুষি পিঠে ইত্যাদি। পাটিসাপটার কথা আলাদা ভাবে না বললে নাই হবে। বর্তমানে লোকে পাটিসাপটা তৈরি করে ময়দা বা সুজি দিয়ে, ভিতরে নারকেলের পুর না দিয়ে ক্ষীরের পুর দেয়। বাঙালির পিঠে পার্বণ সাম্প্রদায়িকতাহীন। ঐতিহ্যবাহী ও  চিরন্তন সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এইদিন পোষ সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে ঘরে ঘরে রমণীরা ব্যস্ত হয়ে পরে নানান ধরনের পিঠে তৈরিতে। এক গৃহিণী জানান পৌষ সংক্রান্তির দিন পূর্ব পুরুষরা অনেক কিছু করে গেছেন। অনেক খাবার তৈরি করে ধনের দেবি লক্ষ্মীকে অর্পণ করা হয়। তারপর সকলে মিলে আনন্দে মেতে উঠে। এবছরও করোনার মধ্যেও যেন কোন অংশেই ভাটার টান পড়ে নি।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য