গুয়াহাটি, ৬ জুলাই (হি.স.) : আগামী ২০২৪-এর সংসদীয় নিৰ্বাচনে পূর্ব ভারতের ১৪২টি আসনে ভালো ফলাফল করার অঙ্গীকার করেছেন গুয়াহাটিতে ১২টি রাজ্যের দলীয় শীর্ষ পদাধিকারীরা।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে গুয়াহাটিতে ভারতীয় জনতা পার্টির অসম প্রদেশ সদর দফতর, অটলবিহারী বাজপেয়ী ভবনে আজ বৃহস্পতিবার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আট সহ পূর্ব ভারতের ১২টি রাজ্য-প্রভারী, সভাপতি, সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক এবং অন্যান্য পদস্থ পদাধিকারীদের এক গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে সংসদীয় নিৰ্বাচনী রণকৌশল প্ৰস্তুত করতে বিস্তর আলোচনা হয়৷ আলোচনায় উঠে এসেছিল দলের অভ্যন্তরে কথিত কোন্দল প্রসঙ্গ। যাবতীয় মান-অভিমান, ক্ষোভ-বিক্ষোভ ঝেড়ে নরেন্দ্র মোদীকে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসাতে উপস্থিত সকলে অঙ্গীকার করেছেন।
দলের এক বিশ্বস্ত সূত্রের বক্তব্য, উত্তর-পূর্বাঞ্চল সহ পূৰ্ব ভারতের ১২ রাজ্যের ১৪২-এর মধ্যে প্ৰায় ৫০ শতাংশ আসন বিজেপির দখলে। বাকি আসনে রয়েছেন বিরোধী দলের সাংসদ৷ এমতাবস্থায় আগামী নির্বাচনে শতাংশের হার ১০০-য় নিয়ে যেতে, নিদেন পক্ষে ৯০ শতাংশ আসন দখল করতে রণকৌশল তৈরি করা হয়েছে আজকের বৈঠকে৷ সূত্রের দাবি, ত্রিপুরা সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আট রাজ্যের সব আসনে বিজেপি এবং শরিক দলের প্রার্থীরাই জয়ী হবেন, তা নিশ্চিত। এদিকে বিজেপির অসম প্রদেশ সভাপতি ভবেশ কলিতার দাবি, লোকসভায় অসমের ১৪টি আসনের মধ্যে ১২টিতে অনায়াসে বিজয়ী হবেন দলীয় প্রার্থীরা৷
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১০টা নাগাদ ভারত মাতার প্রতিকৃতির সামনে প্রদীপ প্রজ্বলন, ড. শ্যামাপ্ৰসাদ মুখোপাধ্যায়, দীনদয়াল উপাধ্যায়দের চিত্রপটের পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ এবং সমবেত ‘বন্দে মাতরম’ দেশাত্মবোধক সংগীতের মধ্য দিয়ে সভা শুরু হয়। বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বিজেপির সৰ্বভারতীয় সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষের পৌরোহিত্যে।
বৈঠকে অংশগ্ৰহণ করেছেন ১২ রাজ্যের সভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদক সহ অন্য পদাধিকারীরা। ছিলেন দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক তথা অসমের প্রভারী বৈজয়ন্তজয় পাণ্ডা, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে দলীয় প্রভারী সম্বিত পাত্র, নলীন কোহলি, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা, ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দিলীপ শইকিয়া প্রমুখ শীর্ষ নেতা।
আজকের সাংগঠনিক বৈঠকে বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা প্রভৃতি পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশ, অসম, ত্রিপুরা, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম সহ ১২টি রাজ্যের পদাধিকারীরা অংশগ্রহণ করেছেন। তবে আগামী ৮ তারিখ পশ্চিমবঙ্গে অনুষ্ঠেয় পঞ্চায়েত ভোটের জন্য ওই রাজ্যের শীর্ষ নেতারা আসতে পারেননি। তবে অন্য পদাধিকারী এসেছেন।