স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ জুলাই : উত্তর পূর্বাঞ্চলে ১০০ উপর জনজাতি গোষ্ঠী রয়েছে। তাদের পৃথক পৃথক ভাষা ও সংস্কৃতি রয়েছে। ভূ রাজনৈতিক পরিচয় নয়। ভূ-সাংস্কৃতিক পরিচয়ই হল প্রধান। একই সঙ্গে রয়েছে সাংস্কৃতিক মেল বন্ধন। এর প্রকৃত উদাহরণ সাত দিন ব্যাপী চলা খার্চি উৎসব। জাতি জনজাতির অবিচ্ছেদ্য মেল বন্ধন এই উৎসবের মাধ্যমে পরিলক্ষিত হয়। রবিবার খয়েরপুরের পুরাতন হাভেলিতে চলা সাত দিন ব্যাপী খার্চি উৎসব ও মেলার সামাপনি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথা বলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক।
আরো বলেন রাজ্যের জাতি জনজাতির সম্প্রদায়ের ঐক্য ও সংহতিকে খার্চি উৎসব আরও বেশি সুদীঢ় করে। কারণ এই উৎসবে নানা ভাষার দৃষ্টি ও সংস্কৃতির মানুষ মিলিত হয়। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সমগ্র দেশকে সাংস্কৃতিক ঐক্যের সুরে বাঁচতে চান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুধু আমাদের দেশকে নয়, সমগ্র বিশ্বেকেও এক সুরে বাঁধতে চান।এদিনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া, বিধায়ক রতন চক্রবর্তী, বিশিষ্ট সমাজসেবী রাজীব ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা। গত ২৬ জুন থেকে শুরু হয়েছিল খার্চি পুজা ও উৎসব। অনুষ্ঠানে এলাকার দুঃস্থ ছাত্র ছাত্রীদের আর্থিক ভাবে সহায়তা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে দিব্যাঙ্গ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা ও সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাছাড়াও তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এবং রাজস্ব দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত বসে আঁকো প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যবাহী খার্চি উৎসব ও প্রদর্শনী উপলক্ষে অংশগ্রহণকারী প্রদর্শনী স্টলগুলিকে পুরস্কৃত করা হয়। পরে মেলা ঘুরে দেখেন অতিথিরা। শেষ দিন বৃষ্টির বিরামে খার্চি উৎসব প্রাঙ্গণ ছিল লোকারন্য।