স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ জুলাই : পুলিশের উপর আস্থা হারিয়ে শাসক দলের দুই কাউন্সিলর বিজেপি কর্মীদের নিয়ে কারখানায় চালায় নেশা বিরোধী অভিযান। কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণে নেশা সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়।
ঘটনা বিশালগড় মহকুমার এক নম্বর গৌতম নগর এলাকায়। এদিকে কারখানা থেকে গা ঢাকা দিতে সক্ষম হয় সেই কুখ্যাত নেশা কারবারি সুভাষ দাস। বিশালগড় মহকুমার এক নম্বর গৌতম নগর এলাকায় স্থানীয় কুখ্যাত নেশা কারবারি সুভাষ দাসের একটি কাঠের আসবাবপত্র তৈরীর কারখানা রয়েছে। স্থানীয় নাগরিকরা এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অমর সরকার এবং দুই নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এর কাছে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ জানিয়ে আসছিল সুভাষ দাসের এই কারখানায় নেশা সামগ্রী বিক্রি এবং সেবন করা হয়। বিশেষ করে রাতের আঁধারে এই কারখানায় সমাজদ্রোহীরা নেশার সমুদ্রে ডুবে থাকে। চূড়ান্ত পর্যায়ে নেশা সেবন করা হয়ে গেলে সেই সমস্ত সমাজ্রোহীরা পার্শ্ববর্তী রেল লাইনের পাত খুলে নিয়ে যায়।
শুধু তাই নয় সুভাষ দাসের এই কারখানায় নেশা সামগ্রীর রমরমা বাণিজ্য চলতে থাকে দীর্ঘদিন ধরে। এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অমর সরকার জানিয়েছেন রবিবার দুপুরে তিনি দুই নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সহ ভারতীয় জনতা পার্টির একাধিক কার্যকর্তাকে নিয়ে অভিযান চালায় সুভাষ দাসের এই কারখানায়। কারখানায় সেই সময়ে তালা ঝোলানো ছিল। চাবি আনার ও অজুহাত দেখিয়ে গা ঢাকা দেয় সেই কুখ্যাত নেশা কারবারি সুভাষ দাস। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর তারা তালা ভেঙে কারখানায় প্রবেশ করে। অভিযান চালিয়ে এই কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণে কৌটা উদ্ধার করা হয়। ডেকে আনা হয় পুলিশকে। কৌটা সমেত উদ্ধারকৃত এই সমস্ত নেশা সামগ্রীর বাজার মূল্য কম করেও ২-৩ লক্ষ টাকার কাছাকাছি হবে। পুলিশ কৌটা সহ যাবতীয় নেশা সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করে থানায় নিয়ে যায়। কুখ্যাত সেই নেশা কারবারি সুভাষ দাসের বিরুদ্ধে পুলিশ কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবারে সেটাই দেখার।