স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ জুন : বিজেপি কদমতলা কুর্তি মণ্ডলের সাধারন সম্পাদক রতন কান্তি নাথ। বিধানসভা এলাকায় বিজেপির নাম ভারিয়ে সে নিজের আধিপত্য চালিয়ে যাচ্ছে। সে চাইছে বিধানসভা এলাকায় এক নায়ক তন্ত্র কায়েম করতে। রতন কান্তি নাথের একের পর এক কর্মকাণ্ডে বিধানসভা এলাকার সাধারন মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। নিজের ক্ষমতা বলে তিনি নিজের TR-05A-1752 নাম্বারের মালবাহী বুলেরো গাড়িটি কদমতলা আর.ডি ব্লকে ভাড়া দেন।
তারপর থেকে তিনি এই গাড়ি ব্যবহার করে ব্লকের সরকারি সামগ্রী খোলা বাজারে পাচার করে দিচ্ছেন। এই কাজে রতন কান্তি নাথকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করে যাচ্ছে কদমতলা ব্লকের টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট অমিত দাস ও ব্লকের স্টোর কিপার বিমল মালাকার। এই তিন জনের ত্রিবেনি সঙ্গমে প্রতিনিয়ত কদমতলা ব্লকের স্টোর থেকে সিমেন্টের বস্তা সহ বিভিন্ন সামগ্রী খোলা বাজারে পাচার হয়ে যাচ্ছে। পাচার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ব্লকের ভারা করা গাড়ি অরথায় মণ্ডল সম্পাদক রতন কান্তি নাথের গাড়িটি। দীর্ঘ দিন ধরে এই অভিযোগ উঠছিল। অবশেষে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে গোপনে খোঁজ খবর নিতে শুরু করেন কদমতলা ব্লকের বিডিও প্রণয় দাস। আর এতেই আসে সাফল্য। মঙ্গলবার কদমতলা ব্লকের টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট অমিত দাসের নির্দেশে ব্লক এলাকার সাতসঙ্গমে একটি কাজের সাইডে নিয়ে যাওয়ার নাম করে ব্লকের ভাড়া করা গাড়িতে ৫০ বস্তা সিমেন্ট তোলা হয়।
স্টোর কিপার বিমল মালাকার স্টোর থেকে সিমেন্ট বের করে দেন রেজিস্টারে উল্লেখ করে। কিন্তু এই সিমেন্ট সাতসঙ্গমে না নিয়ে গিয়ে গাড়ির মালিক কদমতলা কুর্তি মণ্ডলের সাধারন সম্পাদক রতন কান্তি নাথের নির্দেশ গাড়ির চালক সিমান্টের বস্তা গুলি নিয়ে যায় ইচাইলাল ছড়া তিন নং ওয়ার্ড মোকাম বাজারের একটি দোকানে। এই সংবাদ ব্লকের বিডিও-র নিকট পৌছায়। সাথে সাথে বিডিও ব্লকের টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট অমিত দাসের সাথে যোগাযোগ করেন। কিন্তু তিনি বিডিও-কে জানান সিমেন্টের বস্তা গুলি সাতসঙ্গম নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সাথে সাথে বিডিও স্টোর কিপার বিমল মালাকারকে সাথে নিয়ে গোপন সংবাদের উপর ভিত্তি করে ইচাইলাল ছড়া তিন নং ওয়ার্ডের মোকাম বাজারে উপস্থিত হন। সেখানে গিয়ে দেখতে পান গাড়ি থেকে ৩০ বস্তা সিমেন্ট নামিয়ে ফেলা হয়েছে। বাকি ২০ বস্তা সিমেন্ট গাড়িতে রয়েছে। সাথে সাথে বিডিও গাড়ি থেকে নামিয়ে ফেলা সিমেন্টের বস্তা গুলি পুনঃরায় গাড়িতে তোলে গাড়িটি ব্লকে নিয়ে আসেন। ব্লকের বিডিও প্রণয় দাস নিজে এই ঘটনা স্বীকার করেন। পাসাপাসি তিনি জানান ইতিমধ্যে মণ্ডল সম্পাদক রতন কান্তি নাথের গাড়ির টেন্ডার বাতিল করার জন্য বলা হয়েছে। পাশাপাশি একটি কমিটি গঠন করে গোটা ঘটনার তদন্ত করা হয়েছে। স্টোর কিপার বিমল মালাকার ও টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট অমিত দাসকে কারন দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়। মঙ্গলবার বিডিও সিমেন্ট সহ গাড়িটিকে আটক করে ব্লকে নিয়ে আসলেও বিডিও প্রথমে এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ ছিলেন। কারন ঘটনাটি ধামা চাপা দেওয়ার জন্য মণ্ডল সম্পাদক ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। খোদ মণ্ডল সম্পাদক রতন কান্তি নাথ সাংবাদিকরা যেন এই সংবাদ পরিবেশন না করে তার জন্য প্রচেষ্টার কোন গাফিলতি করেন নি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওনার সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। মুখ খুলেছেন ব্লকের বিডিও। এখন দেখার দপ্তর কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে। পাশাপাশি দেখার বিজেপির নাম ভারিয়ে নিজের ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে চলা কদমতলা কুর্তি মণ্ডলের সাধারন সম্পাদক রতন কান্তি নাথের বিরুদ্ধে দল কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে। কদমতলা কুর্তি মণ্ডল এলাকায় কান পাতলে শুনা যায় মণ্ডলের সাধারন সম্পাদক রতন কান্তি নাথের কর্মকাণ্ডের কথা। ওনার কর্মকাণ্ডে মণ্ডল এলাকায় বিজেপির নাম প্রতি নিয়ত কালিমালিপ্ত হচ্ছে। জানা যায় তিনি দলের স্থানীয় নেতৃত্বদেরও পাত্তা দিতে নারাজ।