স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৮ জুন : কৈলাসহরের শিঙ্গির বিল এলাকার কনিকা মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসককে মারধর এবং হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদের গ্রেপ্তার না করে গ্রামের সাধারণ মানুষকে পুলিশ থানায় ডেকে হেনস্তা করছে। এমনটাই দাবি করে মাইলং এডিসি ভিলেজের মহিলারা কৈলাসহর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করল বুধবার।
এনিয়ে গোটা কৈলাসহর মহকুমায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। অভিযোগ গত ২৫ জুন রবিবার রাতে কৈলাসহরের মাইলং এডিসি ভিলেজের ভিকারাই এলাকায় দুর্ঘটনায় মোট ছয়জন পথচারী আহত হওয়ার পর স্থানীয় গ্রামবাসীরা ছয়জন পথচারীকে উদ্ধার করে শিঙ্গির বিল এলাকার কনিকা মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক ড: সত্যজিৎ দত্ত দুইজনকে মৃত বলে জানান। এবং দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দুইজনকে ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে রেফার করেন। এবং বাকি দুইজনকে কনিকা মেমোরিয়াল হাসপাতালে রেখে দেয়।
পরবর্তী সময় রেফার রোগীদের জেলা হাসপাতালে আনার জন্য অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা সময় মতো না পাওয়ায় গ্রামবাসীরা উত্তেজিত হয়ে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ড: সত্যজিৎ দত্তকে বেধড়ক মারধর করে। হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্স ভাঙচুর সহ হাসপাতালের আসবাবপত্র সহ সমস্ত কিছু ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়। এই ঘটনার পর স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হলে পুলিশ বিগত দুই দিনে গ্রামের কয়েকজনকে থানায় ডেকে হেনেস্তা করছে। এর প্রতিবাদে বুধবার দুপুর বারোটায় কৈলাসহর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করে কতিপয় মহিলারা। এদিন থানা ঘেরাও দুপুর বারোটা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত চলে। পরে ঊনকোটি জেলার উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিক বিক্ষোভ কারীদের আশ্বস্ত করেন বিষয়টি তারা দেখছেন। এমনটাই আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে মহিলারা। তবে এমন তো নয় যে ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে কতিপয় গ্রামবাসী?