স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৮ জুন : বাল স্বাস্থ্য কার্যক্রমের মাধ্যমে এখন থেকে শিশুদের জন্মগত ঠোঁট এবং হার্টের সমস্যা সমাধানের জন্য চিকিৎসা রাজ্যে হয়। আগে এগুলি রাজ্যের বাইরে থেকে করানো হতো। এখন থেকে এই স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য রাজ্যের বাইরে যেতে হবে না। ত্রিপুরা রাজ্যে মিলবে এই পরিষেবা। ভারত সরকারের কোষাগার থেকে এই চিকিৎসা করা হয়।
বুধবার এন এইচ এম -এর কনফারেন্স হলে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা জানান স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব ডা. দেবাশীষ বসু। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন ত্রিপুরার অধিকর্তা ডা. শুভাশিস দেববর্মা জানান, বাল স্বাস্থ্য কার্যক্রমের বিভিন্ন অনুষ্ঠান জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন পরিচালনা করছে। এর মধ্যে রয়েছে যে সমস্যাগুলির জন্য শিশুদের জন্ম থেকে সমস্যা হয়ে থাকে। এগুলি শিশুদের জীবনধারণের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করে। সেই রোগ গুলি থেকে শিশুদের সুস্থ করে তুলতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সারা রাজ্যে মোট বাল স্বাস্থ্য কার্যক্রমের ৪৮ টি টিম রয়েছে।
প্রত্যেকটির মধ্যে একজন করে মহিলা এবং একজন করে পুরুষ মেডিকেল অফিসার রয়েছে। পাশাপাশি একজন করে ফার্মাসিস্ট, একজন অক্সালারি নার্স রয়েছেন। যারা বিভিন্ন অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার এবং স্কুলে গিয়ে জন্মগত সমস্যা থাকা শিশুদের চিহ্নিত করেন। তারপর সেই শিশুদের হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করা হয়। এভাবে এখন পর্যন্ত ৮ লক্ষ ৭ হাজার ৩৫০ জন শিশুকে শারীরিক পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে তাদের জন্মগত কোন ত্রুটি রয়েছে কিনা। এর মধ্যে ৭০১ জনকে চিহ্নিত করে সার্জারি করা হয়েছে। যারা এই সুবিধা যারা পেয়েছে তারা সকলেই গরিব পরিবারের। শিশুদের পরিবার এই সুবিধা পেয়ে অনেক খুশি। এই সমস্যা নিরসন হওয়ার ফলে এখন আর শিশুদের সমাজে বোঝা হয়ে বাঁচতে হবে না। এবং এই পরিষেবার মধ্যে ছিল একজন ১০ বছরের শিশু। যার হার্টের ওপেন সার্জারি হয়েছে। এই টিমের মধ্যে যে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি হলেন কনক নারায়ণ ভট্টাচার্যের ছিলেন। জিবি হাসপাতালে এবং এজিএমসি -তে প্রথম ক্যাথল্যাব চালু হয়েছিল ডাঃ কনক নারায়ন ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে। তিনি হার্টের রোগের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার সাথে পরিষেবা প্রদান করে চলেছে বলে জানান তিনি।