স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৩ জুন : ত্রিপুরা এবং পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া আর কোন রাজ্যে প্রাইভেট টিউশন নেই। তারপরও সেসব রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীরা ১০০ শতাংশ নম্বর পায়। আগামী দিনে সরকার প্রাইভেট টিউশনের বিষয় নিয়ে মনোবিদ ও শিক্ষাবিদদের নিয়ে আলোচনায় বসবে। কারণ প্রাইভেট টিউশনের ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক সমস্যা হচ্ছে।
কখনো কখনো স্কুল থেকে ফিরে দ্রুত প্রাইভেট শিক্ষকের বাড়িতে পৌঁছাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ছে। শুক্রবার মহারানী তুলসীবতী উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে নার্সারি ক্লাস, টিঙ্কারিং ল্যাবরেটরি, ড্রিংকিং ওয়াটার পিউরিফায়ার এবং প্লেস হোল্ডারের শুভ উদ্বোধন করে এমনটাই বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। তিনি আরো বলেন, প্রাইভেট টিউশন অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে চলছে। বিশেষ করে অভিভাবকরা ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষকের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকে। আগামী দিনের এ ধরনের অস্বাস্থ্যকর ব্যবস্থা অবশ্যই বন্ধ করবে সরকার। শিক্ষাঙ্গন গুলিতে সব ধরনের ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। যাতে ছাত্রছাত্রীদের প্রাইভেট টিউশনের প্রয়োজন না হয়। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন এ ধরনের ব্যবস্থার জন্য অভিভাবকদেরও ভাবতে হবে তারা কি চায়। এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ে তোলার জন্য অভিভাবকদের সহযোগিতা অত্যন্ত দরকার।
অতিমাত্রায় প্রাইভেট টিউশনের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক সমস্যা হচ্ছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে চলেছেন। কারণ দেশ আগামী দিন তাদের হাতে হবে যাদের কাছে জ্ঞান থাকবে। তাই সেই দিশা নিয়ে রাজ্য সরকার কাজ করছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে আসার পেছনে মূল উদ্দেশ্য হলো বর্তমানে সাথে তাল মিলিয়ে যাতে শিক্ষা আগামী দিন কাজে আসে। এবং কেন্দ্রীয় সরকারের দিশা অনুযায়ী ত্রিপুরা রাজ্যে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর করা হয়েছে। এবং এর নয়া শিক্ষানীতি বাস্তবের সাথে মিলিয়ে করা হয়েছে। যাতে রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীরা সারাদেশে প্রতিযোগিতামূলক উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অংশ নিতে পারে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে বিদ্যালয়ে নার্সারি ক্লাস, টিঙ্কারিং ল্যাবরেটরি, ড্রিংকিং ওয়াটার পিউরিফায়ার পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিরা। আয়োজিত অনুষ্ঠানে এদিন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কর্পোরেটর রত্না দত্ত, শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক সহ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ছাত্রীরা।