স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ জুন : শ্যালিকার বাসর রাতের আগেই বৌভাতের অনুষ্ঠান ভেঙ্গে দিল বোন জামাই। বুধবার শালিকার ঘরে প্রবেশ করে ধারালো ব্লেইড দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করেছে বোন জামাই বলে অভিযোগ। ঘটনা রাজধানীর সুভাষনগর এলাকায়। অভিযুক্ত বোন জামাইয়ের সাথে শালিকার ১৮ বছরের প্রেম লুকিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসানো হয়েছিল।
এই ঘটনার সাক্ষী রইল রাজধানীর সুভাষ নগর এলাকাবাসী। ঘটনায় বাকরুদ্ধ বরের পরিবার। অভিযোগ দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে বড় বোন জামাই সজল নমঃ সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল নববধূর। বিয়ের আগে তিনবার গর্ভবতীও হয়েছিলেন নববধূ। এ বিষয়টি পুরোপুরিভাবে চেপে রেখে সুভাষ নগর এলাকার মন্টু দেবনাথের সাথে সামাজিকভাবে বিয়ে ঠিক হয়। সোমবার বিয়ে হওয়ার পর বৃহস্পতিবার বৌভাতের আয়োজন ছিল বাড়িতে। প্রস্তুতি ছিল অরকেসটার এনে বেশ জাকজমকভাবেই হবে বৌভাত অনুষ্ঠান। এরই মধ্যে সাত সকালে লেম্বুছাড়া থেকে নববধূর শ্বশুরবাড়িতে ছুটে আসে বোনজামাই সজল নমঃ। কনের জামাইকে পেয়ে নতুন বর মন্টু আদর অভ্যতা করেন। কিছুক্ষণ পর অভিযুক্ত বোন জামাই নববধূর সাথে কথা বলার অজুহাত দেখিয়ে নতুন বর মন্টুকে ঘর থেকে বের হয়ে যেতে বলে। তারপর বাড়ির লোকজনের চিৎকার শুনতে পায় গৃহবধূর। সাথে সাথে বাড়ির লোকজন ঘরে প্রবেশ করে দেখে অভিযুক্ত বোন জামাই সজল রক্তাক্ত করে ফেলে রেখেছে নব বধুকে।
সাথে সাথে অভিযুক্ত সজলকে আটক করে উত্তম মধ্যম দিয়ে খবর দেয় পুলিশকে। যথারীতি পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। পুলিশ এসে নববধূ এবং অভিযুক্ত বোনজামাইকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। অভিযুক্ত সজল নমঃ স্বীকার করেছে দীর্ঘ ১৮ বছর শালিকা সাথে ষষ্ঠী নষ্টি করে আবার বিয়ের আয়োজন করেছেন। বুধবার রাতের বেলা শালিকা সাথে অভিযুক্ত বোন জামাইয়ের ফোনে ঝামেলা হয়। তারপর থানায় অভিযুক্ত সজলের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত জানায় নব বধুর বাপের বাড়ি লোকজন। কিন্তু বৌভাতের সকালে মোবাইল ফোনে করে সমস্ত ভিডিও নিয়ে আসে শালিকাকে দেখাতে। এ নিয়ে শুরু হয় দুজনের মধ্যে বাক-বিতন্ডা। তারপরে ঘটে এই রক্তারক্তি কান্ড। এই ঘটনায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে বর মন্টুর পরিবারের উপর। তিনি পেশায় ডেকোরেটরের কাজ করেন। বহু কষ্টে অর্থ জোগাড় করে পূর্ব আড়ালিয়া চৈতন্য টিলা এলাকা থেকে বিয়ে করেন এই মেয়েকে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় বিয়ের চার দিনের মাথায় সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরিক্রম।