স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৪ জুন : ১৪ জুন বিশ্ব রক্তদাতা দিবস। স্বেচ্ছা রক্তদানের গুরুত্ব সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি মুমূর্ষু রোগীর জীবন বাঁচাতে স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের মানবিক অবদানকে স্বীকৃতি দিতে বিশ্ব রক্ত পাতা নিবস পালন করা হয় বুধবার। এদিন রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে পরিবার কল্যাণ এবং রোগ প্রতিরোধক অধিকারের উদ্যোগে বিশ্ব রক্ত দাতা দিবস পালন করা হয়।
এর উদ্বোধন করেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার। তারপর তিনি বক্তব্য রেখে বলেন রাজ্যে নির্বাচনের জন্য রক্তদান বন্ধ ছিল। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানে রক্তদানে মানুষ এগিয়ে এসেছে। মানুষ এখন উৎসবের মেজাজে রক্তদান করে চলেছে। যেকোনো শুভ অনুষ্ঠানেও রক্তদান করছে সমাজের দায়িত্ববান মানুষ। বিশেষ করে ব্যক্তিগত ভাবে মানুষ রক্ত জানান এগিয়ে আসছে বলে জানান মেয়র দীপক মজুমদার। বিশ্ব রক্ত দাতা দিবসের এই বছরের ভাবনা- “রক্ত দান করুন, প্লাজমা নিন। ১৮ বছর থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত তিন মাস অন্তর অন্তর যে কোনও সুস্থ, স্বাভাবিক পুরুষ এবং চার মাস অন্তর অন্তর মহিলারা রক্ত দান করতে পারেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মতে রক্তদানেসক্ষম সুস্থ মনুষের শরীরে প্রয়োজনের তুলনায় যে অতিরিক্ত রক্ত থাকে, সেই অতিরিক্ত রক্তের একটি সামান্য অংশ দান করা হয়।
রক্তদানে মানব দেহের কোনও ক্ষতি হয় না বরং উদ্বৃত্ত রক্ত একটা নির্দিষ্ট সময় অন্তর শরীরেই নষ্ট হয়ে যায়। মানব দেহে বিভিন্ন সময় রক্তের প্রয়োজন হয় যেমন- থ্যালাসেমিয়া, ক্যান্সার ইত্যাদি রোগের ক্ষেত্রে। এবং যারা রক্ত স্বল্পতায় ভোগেন তাদেরও সব সময় রক্তের প্রয়োজন হয়। প্রসবকালীন সময়েও গর্ভবতী মায়েদের রক্তের প্রয়োজন হয়। দুর্ঘটনাগ্রস্থ ব্যক্তির শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণ হলে, সেই সময়ও জরুরি ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন হয়। তিনি আরো বলেন, বিশ্ব রক্ত দাতা দিবসের উদ্দেশ্য হলো স্বেচ্ছা রক্তদানে জনগণকে উৎসাহিত করা। রক্তদান এবং সামাজিক কাজে জনসাধারণকে অনুপ্রাণিত করা। ত্রিপুরায় বছরে ৪০ হাজার ইউনিট রক্তের প্রয়োজন হয়। রাজ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরে রক্ত সংগ্রহ হয়েছে ৪২ হাজার ৩৯২ ইউনিট। রাজ্যে ১৪ টি ব্লাড ব্যাঙ্ক রয়েছে।
এদিন অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের সচিব ডঃ দেবাশিস বসু, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের অতিরিক্ত সচিব তথা জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মিশন অধিকর্তা শুভাশিস দাস, স্বাস্থ্য অধিকারের অধিকর্তা ডা: শুভাশিস দেববর্মা, পরিবার কল্যাণ ও রোগ প্রতিরোধক অধিকারের ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তা ডা: সুপ্রিয় মল্লিক সহ অন্যান্যরা।