স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৭ জুন : আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে রাজ্যে এন এল এফ টি জঙ্গি সংগঠনের সহযোগীরা। নির্মাণের কাজকে কেন্দ্র করে ১০ লক্ষাধিক টাকা দাবি করে জঙ্গি সংগঠনের সাথে জড়িত এক ব্যক্তি। চাম্পা হাওয়ার থানার পুলিশ অভিযোগ মূলে একজনকে আটক করেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান খোয়াই জেলার পুলিশ সুপার রমেশ যাদব।
জানা যায়, খোয়াই তুলাশিখর আর ডি ব্লকের ইঞ্জিনিয়ারদের অভিযোগ মূলে চাম্পা হওয়ার থানার পুলিশ এক এন এল এফ টি বৈরী সহযোগীকে আটক করছে মঙ্গলবার। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে চম্পাহওয়ার থানায় একটি অভিযোগ আসে তুলাশিখর আর ডি ব্লকের ইঞ্জিনিয়ার, ঠিকাদার ও আর ডি ব্লকের আধিকারিকদের কাছে এন এল এফ টি বৈরী হোয়াট অ্যাপে ফোন করে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। আর ডি ব্লকের ইঞ্জিনিয়ার পুলিশের কাছে আরো জানান তুলাসিখর আর ডি ব্লকের পক্ষ থেকে একটি বক্স কালভার্ট ও একটি রাস্তা ঈশান চৌধুরী পাড়া যজ্ঞ কোবরা এলাকা থেকে ও তুই বাগলাই এলাকা পর্যন্ত নির্মাণ করা হচ্ছে। একে ৪৭ দেখিয়ে ইঞ্জিনিয়ারদের বলেছে যদি এই টাকা অবিলম্বে তাদের মিটিয়ে না দেয় তাহলে কাজ করতে পারবে না। এবং তাদের অপহরণ করে নিয়ে যাবে। পুলিশ আরো জানতে পারে অভিযুক্ত জঙ্গি সংগঠনের সহযোগীদের বৈরী ঘাঁটি রয়েছে বাংলাদেশে। শেষে আর ডি ব্লকের ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদারেরা এই বিষয়টি চম্পাহাওয়ার থানায় জানায়। জেলা পুলিশ সুপার রমেশ যাদব, চম্পাহাওয়ার থানার পুলিশ খোয়াই মহাকুমার পুলিশ আধিকারিক প্রুসূন কান্তি মজুমদারের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল তৈরি করা হয় এবং সেই অনুযায়ী তুলাশিখর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে পুলিশ উৎ পেতে বসে বৈরীদের ধরার জন্য।
কিন্তু বৈরীরা বিষয়টি টের পেয়ে গা ঢাকা দেয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে একজন মধ্যস্থতাকারি বৈরী সহযোগী রাজেশ দেববর্মাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। পুলিশ আধিকারিক আরো জানান বৈরী সহযোগী রাজেশ দেববর্মাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এবং বাকিদেরকে ধরার চেষ্টা চলছে। অতিসত্বর পুলিশ বাকীদের জালে তুলতে সক্ষম হবে বলে জানান পুলিশ। পুলিশ আধিকারিক বলেন আসল এন এল এফ টি -র সদস্য ইমাম দেববর্মাকে অতিসত্বর পুলিশ জালে তুলতে সক্ষম হবে। তবে বৈরী সহযোগী রাজেশ দেববর্মার ছেলেই হল ইমাম দেববর্মা বলে জানান পুলিশ সুপার। তবে পুলিশের তৎপরতা জারি রয়েছে। এখন দেখার বিষয় পুলিশ কত দ্রুত গোটা গ্যাং জালে তুলতে সক্ষম হয়। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আতঙ্কে কোনো কারণ নেই। ধারণা করা হচ্ছে যারা চাঁদা সংগ্রহ করার সাথে জড়িত তারা সকলে জঙ্গি সংগঠনের সহযোগী।