স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৫ জুন : অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সহায়িকাদের ছাটাই বন্ধ করা, সকল দরিদ্র মানুষকে সামাজিক ভাতা প্রদান করা সহ বিভিন্ন দাবিতে সিআইটিইউ পক্ষ থেকে সোমবার সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের অফিসে ডেপুটেশন প্রদান করা হয়। রাজধানীর রাধানগর স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা থেকে কর্মীরা মিছিলের পর অভয়নগর স্থিত সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তার কাছে ডেপুটেশন প্রদান করতে যায়।
মিছিলের অগ্রভাগে উপস্থিত সি আই টি ইউ রাজ্য সভাপতি মানিক দে, সাধারণ সম্পাদক শংকর প্রসাদ দত্ত সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। পরবর্তী সময় অভয়নগর স্থিত সমাজ কল্যাণ এবং সমাজ শিক্ষা অধিকার কার্যালয়ের সামনে গিয়ে বিক্ষোভের শামিল হয় সিআইটিইউ কর্মীরা। এবং একটি প্রতিনিধি দল অধিকর্তার কাছে ডেপুটেশন প্রদান করতে যান। বিক্ষোভে উপস্থিত সি আই টি ইউ রাজ্য সভাপতি মানিক দে বলেন, বিজেপি ও আইপিএফটি জোট সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, আশা কর্মী, পাম্প অপারেটর সহ বহু কর্মীকে ছাটাই এবং দৈহিক নির্যাতন করে চলেছে সরকার এবং শাসক দল। এবং এই কর্মীদের বাড়িতে পর্যন্ত থাকতে দিচ্ছে না। সারা রাজ্যে এভাবে শ্রমজীবী অংশের মানুষ আক্রান্ত। এবং শাসক দলকে টাকা না দিলে স্কিম ওয়ার্কাররা কাজে পর্যন্ত যেতে পারছে না। বিভিন্ন গ্রুপের নাম দিয়ে শাসকদলের কর্মীরা তোল্লা আদায় করছে। তারই প্রতিবাদে এই মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। মানিক দে এদিন আরো অভিযোগ করলেন রাজ্যে ৩৩ টি সামাজিক ভাতা রয়েছে। অধিকাংশ মানুষ এই সামাজিক ভাতা থেকে বঞ্চিত। তাই বাধ্য হয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এই বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে ডেপুটেশন প্রদান করা হচ্ছে। তিনি এদিন সরকারের সমালোচনা করে আরো বলেন, বিগত দিনে মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রশাসনিক আধিকারিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয় নি। তাই বাধ্য হয়ে আবার রাস্তায় নামতে হয়েছে বলে জানান মানিক দে। তিনি আরো বলেন, বামফ্রন্ট সরকারের সময় দিয়ে বৃদ্ধি পেলে তাদেরও মজুরি বৃদ্ধি করা হতো। কিন্তু এখন দিয়েও প্রদান করা হয় না আর তাদেরও মজুরি বাড়ে না। সরকারের এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গির জন্য চরম অরাজকতা চলছে বলে জানান তিনি। এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের উপর মানসিকভাবে নির্যাতন চলছে।
কাজে ভুল ত্রুটি হলে দলীয় কর্মীরা গিয়ে তাদের শাসিয়ে আসছে। কিন্তু এটা ঠিক নয়। কাজের ভুল ত্রুটি হলে আধিকারিকরা বিষয়টি তদন্ত করবে। তাদের মর্যাদার উপর আঘাত নামিয়ে আনা হচ্ছে বলে জানেন তিনি। শ্রী দে আরো বলেন বামফ্রন্ট সরকারের সময় চার লক্ষ ২৩ হাজারের অধিক সামাজিক ভাতা ছিল। এর মধ্যে ১ লক্ষ ৩৩ হাজার সামাজিক ভাতা কেটে দেওয়া হয়েছে। আর নতুন করে কয়েকজনকে সামাজিক ভাতা প্রদান করেছে সরকার। এর বিরুদ্ধে মুখ খোলা যাচ্ছে না। যা বলছে সেটাই মেনে নিতে হবে। এমন ভাব দেখাচ্ছে কেন্দ্র ও রাজ্যের এই স্বৈরাচারী সরকার বলে সমালোচনার ঝড় তোলেন মানিক দে।