Tuesday, January 14, 2025
বাড়িরাজ্যবিদ্যুৎ নিগম অফিস পরিদর্শনে গেলেন মন্ত্রী, কর্মীদের কাজের গাফিলতি প্রত্যক্ষ করলেন

বিদ্যুৎ নিগম অফিস পরিদর্শনে গেলেন মন্ত্রী, কর্মীদের কাজের গাফিলতি প্রত্যক্ষ করলেন

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩ জুন : গরমে গরম মন্ত্রী রতন লাল নাথ! শনিবার দুপুরে আচমকাই বনমালী পুর বিদ্যুৎ নিগম অফিস পরিদর্শনে যান মন্ত্রী। তিনি পরিদর্শনে গিয়ে ব্যাপক অনিয়ম প্রত্যক্ষ করেন অফিসের মধ্যে। যেমন খুশি চলছেন কর্মীরা। কাজের প্রতি তারা অত্যন্ত অমনোযোগী। ফলে মন্ত্রী কর্মীদের গালিগালাজ করতে ভুল করে নি। মন্ত্রী এদিন বিদ্যুৎ নিগমের অফিসের কক্ষ গুলি পরিদর্শন করে কর্মীদের কাজকর্ম খতিয়ে দেখে জানতে চান এভাবেই কি চলছে তাদের দায়িত্ব পালন? এবং কক্ষ গুলি অত্যন্ত অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন থাকায় মন্ত্রী বলেন বামফ্রন্ট যা শিখিয়ে গেছে সেটাই করছেন কর্মীরা।

অর্থাৎ মন মানসিকতা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত পচে গেছে এই কর্মচারীদের। কিছু করার ইচ্ছে নেই তাদের। শুধু হাজিরা দাও আর আগরতলা শহরে বসবাস করার। কর্মীদের কক্ষে বটগাছ দেওয়ালে গজিয়ে উঠায় মন্ত্রী বলেন, আপনার বাড়ি ঘরে যদি কোন বটগাছ এভাবে গজিয়ে না উঠতে দেন, তাহলে কেন আপনার অফিস কক্ষে এভাবে বটগাছ উঠে আছে। এর পেছনে কারণ আপনি অফিসের কক্ষটাকে নিজের মনে করতে পারেননি। শুধুমাত্র ঘড়িতে কাটা ঘুরছে কিনা সেটাই দেখছেন, পাঁচটা বাজলেই বাড়ি যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে পড়েন আপনারা। যেখানে সেখানে যা খুশি ফেলে কক্ষের চেহারা নোংরা করে রাখা হয়েছে। পরিত্যক্ত জিনিস ফেলার জন্য ডাস্টবিন রাখার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। কতিপয় কর্মীদের কাজের অমনোযোগী দেখে মন্ত্রী বলে উঠেন অফিসটাকে বাড়ি মনে করবেন না আপনারা। কিছু কিছু কর্মীদের কম্পিউটারে তাস খেলার চিত্র ধরা পড়েছে মন্ত্রী চোখে। জানতে চান এগুলি কি হচ্ছে অফিসে? অর্থাৎ মন্ত্রী স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেছেন কেন মানুষ বিদ্যুৎ নিগমে অভিযোগ জানিয়ে নিজেদের সমস্যা সমাধান করতে পারে না। মন্ত্রী কতিপয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন অফিসে এসে কোন সম্মেলন চলবে না। সম্মেলন করার জায়গা অফিসের ভেতরে নয়।

 এসব অফিসের বাইরে করার জন্য নির্দেশ দেন। এদিন এক মহিলার কর্মী মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে বলেন অফিসের চেয়ার টেবিল সব ভাঙ্গা। এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন এর জন্য দায়ী আপনারা। কারণ আপনারা অফিসকে বাড়ি মত দেখেন না। তাই আপনাদের নতুন চেয়ার টেবিলে দেয় না দপ্তর। এবং চেয়ার টেবিল আপনাদের নতুন করে না দিয়ে ঠিক করছে। পরে মন্ত্রী বিদ্যুৎ নিগমের পরিত্যক্ত জায়গাগুলো পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের পর মন্ত্রী জানান এই নিগম অফিসে চার এককের অধিক জায়গা রয়েছে। বহু জায়গা খালি পড়ে রয়েছে। এই খালি জায়গা যাতে সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায় তার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় বিদ্যুৎ নিগম থেকে। এবং একটি পুকুরও পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। আগরতলা পৌর নিগমকে বলা হবে এই পুকুরটির সৌন্দর্যায়ণ করার জন্য। পরবর্তী সময়ে মন্ত্রী বিদ্যুৎ নিগমের অধীনে ভুতুরিয়া হেল্প লাইন ড্র্যাক্স পরিদর্শনে যান। কথা বলেন কর্মীদের সাথে। তিনি কর্মীদের জানিয়ে দেন মানুষ যেহেতু হেল্প লাইন নম্বরে ফোন করে পায়না বলে অভিযোগ তুলছে তাই তিনি রাত বারোটা থেকে ভোর চারটার মধ্যে প্রতিদিন ফোন করার চেষ্টা করবেন। তবে মন্ত্রী পরিদর্শন কতটা আগামী দিনে কর্মীদের কাজের গতি আনবে সেটাই এখন বড় বিষয়।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য