স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ জুন : ২০১৯ সালের শহরের জ্যাকসন গেইট এলাকা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় রামনগরের বাসিন্দা ধর্মনগরের ব্যাঙ্ক ম্যানেজার বোধিসত্ত্ব দাস। এক ব্যক্তি তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি এ টি এম সেন্টারের সামনে পড়ে থাকতে দেখে খবর দেয় পুলিশকে। খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ। উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় জিবি হাসপাতালে।
জিবিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ব্যাঙ্ক ম্যানেজার বোধিসত্ত্ব দাসের। এরপর হত্যাকান্ডের তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এই খুনের ঘটনায় চার অভিযুক্তের নাম উঠে আসে তারা প্রত্যেকেই শহরের নামিদামি ও প্রভাবশালী ব্যক্তি। গ্রেপ্তার করা হয় সুমিত চৌধুরী , সুমিত বণিক, সুকান্ত বিশ্বাস ও ওমর শরিফ ওরফে শোয়েব মিঞাকে। এই মামলা চলাকালীন সময়ে ৫৬ জনের সাক্ষাবাক্য গ্রহণ করা হয়। তবে আদালতে মামলা চলাকালীন সময়ে দুজন সাক্ষী হোস্টাইল হয়ে যায়। এদের একজন প্রত্যক্ষদর্শী বাসু কর ও অপরজন এজিএমসি-র চিকিৎসক অভিজিৎ দাশ গুপ্ত। মামলা পরিচালনার জন্য সরকার পক্ষের নিযুক্ত আইনজীবী স্পেশাল পিপি সম্রাট কর ভৌমিক জানান প্রত্যক্ষদর্শী বাসু কর কিভাবে বোধিসত্ত্বকে হত্যা করা হয়েছিল তা নিজে চাক্ষুস করেছেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সে হোস্টাইল হয়। অন্যদিকে জিবিতে মৃত্যুকালীন সময়ে বোধিসত্ত্ব র জবানবন্দী চিকিৎসক অভিজিৎ দাশগুপ্ত শোনেননি বলে জানান।
তিনিও হোস্টাইল হন। মামলা চলাকালীন সময়ে আদালতে মিথ্যা সাক্ষী দেওয়ায় সরকার পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে প্রেয়ার করা হয়েছে। স্পেশাল পিপি সম্রাট কর ভৌমিক আরো জানান ঘটনার দিন রাতে বোধিসত্ত্ব দাস ও তার এক বন্ধু জ্যাকসন গেইট এলাকায় একটি ওষুধের দোকানের সামনে বসে ছিল। সেই সময় তিন আততায়ী গাড়ি নিয়ে আসে। তারা হল সুকান্ত বিশ্বাস, সুমিত চৌধুরী ও সুমিত বনিক। গাড়ি থেকে নেমে দোকানের সামনে প্রাকৃতিক কাজ সারছিল। তার প্রতীবাদ করে বোধিসত্ত্ব। আর এর জেরেই তাঁকে হত্যা করা হয়। শুক্রবার মামলার দীর্ঘ সুনানী শেষে পশ্চিম জেলার জেলা ও দায়রা আদালত চার জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। তারা হল সুমিত চৌধুরী , সুমিত বণিক , সুকান্ত বিশ্বাস ও ওমর শরিফ ওরফে শোয়েব মিয়া। ৩০২ ও ৩৪ ধারায় তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তবে শনিবার সকাল ১১ টায় রায় ঘোষণা করবে আদালত। হত্যার ঘটনার প্রায় চার বছর পর চারজনকে দোষী সাব্যস্ত করায় স্বস্তির নিঃশ্বাস বোধিসত্ত্বর পরিবারে। এদিন আদালত চত্বরে এই মামলার রায় দান পর্বকে ঘিরে ছিল কৌতূহলী মানুষের ভীড়। দাবি তুলছে তাদের কঠোর শাস্তির।