Friday, March 29, 2024
বাড়িরাজ্যমানব পাচারের কাজে জড়িত পাচারকারীর বিরুদ্ধে মুখ খুললেন আইনজীবী

মানব পাচারের কাজে জড়িত পাচারকারীর বিরুদ্ধে মুখ খুললেন আইনজীবী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২২ মে : সম্প্রতি বিলোনিয়ায় পাচার বাণিজ্য এবং পুলিশ কর্তৃক ৫ জন বাংলাদেশির জেল হাজত হলেও এখনো অধরা রয়ে গেল বিলোনিয়া তথা দক্ষিণ জেলার পাচার বাণিজ্যের কিং শুকলাল মিঞা সহ তার সাঙ্গ পাঙ্গরা। জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে পাঁচ বাংলাদেশি গ্রেফতারের পর ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করার হলে চারজন পাচারকারীর নাম উঠে আসে। মামলা গ্রহণ করার পর এই নামগুলি সেদিন পুলিশ না জানালেও সোমবার সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সিজিএম কোর্টের এপিপি সুব্রত ভট্টাচার্যী জানায় এই পাচারকারীরা হলো সুখলাল মিঞা, মিলন মিঞা, আশীষ বৈদ্য ওরফে মিঠুন এবং তমাল মল্লিক।

এ তমাল মল্লিকের বাড়িতেই পুলিশ হানা দিয়ে ৫ বাংলাদেশি সহ উদ্ধার করে কয়েক লক্ষাধিক টাকার শাড়ি এবং নবরত্ন তেল। পাঁচ বাংলাদেশিকে শনিবার সকালে পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধি 370/212/120(বি) 3 অফ আই পি পি ধারা মামলা নিয়ে পাঠায় বিলোনিয়া আদালতে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে এ পাচার বাণিজ্যের সাথে জড়িত রয়েছে এই চারজন। কিন্তু এই চারজন এখনো অব্দি পুলিশের ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে। তবে তিনি শুকলাল এবং মিলন মিঞার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন এর আগেও চোরা কারবার এবং মানব পাচারের সাথে জড়িত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে বিলোনিয়া থানায় মামলা নেওয়া হয়েছিল।

 কিন্তু মিলন মিঞা কিছুদিন জেল খাটলেও শুকলাল মিঞা আজও ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তিনি অভিযোগ করে বলেন বিলোনিয়া থানার একাংশ পুলিশ অফিসাররাও এ শুকলাল মিয়ার বিরুদ্ধে কোন পাচার বাণিজ্যে সাথে জড়িত থাকার মামলা হলে, পুলিশ তার বিরুদ্ধে হালকা সেকশন লাগিয়ে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন শুকলাল এবং মিলন মিঞা লাভ জিহাদীর মত কাজেও জড়িত। কোন গরিব গ্রামে গঞ্জের এক ধর্মের মেয়েকে অন্য ধর্মের ছেলের সাথে বিয়ে করিয়ে দিয়ে মেয়েদেরকে পাচার করে দিচ্ছে। তিনি আরো বলেন এই শুকলাল মিঞা রয়েছে বাংলাদেশের সাথে ফেনসিডিল, গাঁজা, বাইক সহ মানব পাচারকারীর ব্যবসা। এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে রাজনগর, ঋষ্যমুখ, মতাই, গজারিয়া সহ আমজাদ নগর এলাকা দিয়ে। কিন্তু তারপরেও এই শুকলালের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না পুলিশ। তিনি প্রশ্ন তুলেন, যে শুকলাল একসময় মানুষের বাড়ি থেকে কাঁঠাল কিনে কিনে বাংলাদেশে কাঁঠাল পাচার করত। সে শুকলাল হঠাৎ করে কিভাবে মতাই, বিলোনিয়া, উদয়পুর আগরতলা সহ কলকাতায় বাড়ি করে নিয়েছে। এবং দুটি বাইক শোরুম সহ ব্যক্তিগত চলাচলের জন্য  বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করছে। তার এত টাকা পয়সা কোথা থেকে আসলো সে বিষয়টা তদন্তের দাবি জানান আইনজীবী।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য