স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২১ মে : রাজ্যে দ্বিতীয়বার সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর নারী নেত্রীর প্রতারণার শিকার হয়ে সর্বস্ব খোয়ালেন বহু পরিবার। দিশেহারা হয়ে খুঁজছে পরিত্রাণের পথ। নারী নেত্রীর দাপট দেখে সাধারণ মানুষের কাছে যখন যেভাবে টাকা চেয়েছে সেভাবেই টাকা মিটিয়ে দিয়েছেন চাকুরি সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাওয়ার আশায়।
এখন সেই মহিলা নেত্রী যখন নিজেকে আড়াল করে নিয়েছে তখন বাড়িতে হানা দিচ্ছেন পাওনাদাররা। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, উদয়পুর টাউন সোনামুড়ার জালাল মিঞার স্ত্রী কুলসুম বিবি নিজেকে শাসকদলের বড় নেত্রী হিসেবে এলাকায় জাহির করতেন। কখনো মন্ডল সভাপতির নাম করে, আবার কখনো স্থানীয় মন্ত্রী বিধায়কের নাম ভাঙ্গিয়ে বহু মানুষের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে অর্থ সংগ্রহ করে আসছিলেন।
এলাকায় শাসক দলের কর্মসূচি কিংবা বৈঠক কুলসুম বিবির বাড়িতে করতেন নেতৃবৃন্দ। আর দ্বিতীয়বার সরকার প্রতিষ্ঠিত হতে এই মহিলা নেত্রীর প্রতারণা আরো বেশি মাথা চাড়া দেয় এলাকায়। সেই সুযোগের ফায়দা লুটে এলাকায় দাপট খাটিয়েছে এই মহিলা নেত্রী। নিজেকে বড় নেত্রীর পরিচয় দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা এলাকার যুবক যুবতীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন। মানুষ বাড়ি, ঘর এবং স্বর্ণালংকার বন্ধক দিয়ে মহিলার নেত্রীর খাই মিটিয়েছেন। এই মহিলার নেত্রীর খপ্পড়ে শুধু এলাকাবাসী পরেনি, খপ্পরে পড়েছেন পরিজনেরাও। রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে লোভ দেখিয়ে অন্যের নামে ঋণ নিয়ে পরিশোধের কথা বলে অর্ধ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছেন বলে অভিযোগ। দু-চার মাস ঋণের কিস্তি পরিশোধ করলেও বর্তমানে বাড়ি ছাড়া দাপুটে নারী নেত্রী।
বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার কারণে বাড়িতে গিয়ে এখন বসে আছেন সংস্থার কর্মীরাও। যাদের সাথে প্রতারণা করেছেন তাদের সিংহভাগ গরিব অংশের মানুষ। তাদের মধ্যে আবার অনেকের বক্তব্য পরিজন মারা যাওয়ার পর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করতে পারছিলেন না এই নারী নেত্রী। তখন ভাইয়ের স্ত্রী বন্ধন থেকে দেড় লক্ষাধিক টাকা ঋণ নিয়ে সহযোগিতা করেছিলেন। কিন্তু সেই টাকা মিটিয়ে দেওয়ার নাম নেই গত চার মাস ধরে। এখন কোথায় আছে এই নারী নেত্রী সেই বিষয়টাও কেউ বুঝে উঠতে পারছে না। বাড়িতে তীর্থের কাকের মতো ঘোরাফেরা করছেন পাওনাদাররা। তারা দেখা দেয় পরে এবার সহযোগিতা চাইছে আইনের। দাবি করছে অভিযুক্ত নারী নেত্রীর কঠোর শাস্তির। কমলা সাগর পৃষ্ঠা প্রমুখদের পর এবার উদয়পুর সোনামুড়া এলাকার নারী নেত্রীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ। দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করতে চলেছেন এই মহারথিরা। অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বদনাম হবে সরকার।