Saturday, January 25, 2025
বাড়িরাজ্যদৈনিক ৩০ টি ইঞ্জেকশন পুশ করে মৃত্যু যুবকের

দৈনিক ৩০ টি ইঞ্জেকশন পুশ করে মৃত্যু যুবকের

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ মে : ড্রাগসে বুঁদ হয়ে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর পথ বেছে নিল মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত যুবক। বয়স মাত্র ২৭ বছর। মৃত যুবকের নাম অমলেন্দু দেবনাথ। বাড়ি রানীরবাজার নোয়াগাঁও এলাকায়। ঘটনার বিবরনে জানা যায়, শুক্রবার সকালে পরিবারের লোকজনেরা ঘুম থেকে উঠে বারান্দায় তার মৃতদেহ দেখতে পায়।

তার গলা গামছা দিয়ে মোড়ানো ছিল। সাথে সাথে তার পিতার চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজনেরা ছুটে আসে। নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে। চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। কান্নায় ভেঙে পড়ে অমলেন্দুর পিতা। উনার বক্তব্য ছেলে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে নেশায় বুদ হয়ে থাকে। ছেলেকে শুধরানোর জন্য বহু চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মানসিক অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়ে ছেলে। প্রতিদিন তার ১০০০ টাকা ড্রাগসের জন্য লাগতো। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ৩০ টি ইঞ্জেকশন সে শরীরে পুশ করতো। বহুবার সে উর্মাদ হয়ে টাকার জন্য তার বাবাকে পর্যন্ত কুপিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করেছে। বহু রাত প্রানে বাঁচাতে তার পিতাকে জঙ্গলে আশ্রয় নিতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ছেলেকে নরসিংগড় সাইকরেট্রিক হাসপাতালে দেয় সুস্থ হওয়ার জন্য। সেখান থেকে চিকিৎসক তাকে ওষুধ দিয়ে বাড়ি পাঠায়।

কিন্তু নেশায় উন্মাদ হওয়া অমলেন্দুর শরীরে আর ওষুধ কাজে আসেনি। প্রতিদিন সকাল থেকে বাড়ি বাড়ি কাজ করে নেশার জন্য টাকা জোগাড় করত সে। এমনও দিন গেছে সে বাড়ির টিনের ছাউনি খুলে টিন বিক্রি করে ফেলেছে। তার বাবার কিনে দেওয়া বাইক পর্যন্ত ড্রাগসের টাকা জোগাড় করতে বিক্রি করেছে। বৃহস্পতিবার সে কাজ থেকে ফিরে এসে তার মার কাছ থেকে ৫০০ টাকা নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে এসে তার মাকে বলে এই ৫০০ টাকা দিয়ে তার নেশা হবে না। আরো ৫০০ টাকা দেওয়ার জন্য। কিন্তু গোটা পরিবার দিশেহারা হয়ে তার নেশার টাকা মিটিয়ে দিত। যার পরিণাম ছেলেকে হারাল পরিবার। অসহায় পিতার অভিযোগ এলাকায় বহু নেশা কারবারি এভাবে প্রতিদিন ড্রাগস বিক্রি করে চলেছে। ছেলের দুই বন্ধুও ড্রাগসের জন্য এক বছর আগে আত্মহত্যা করেছে। আজ উনার ছেলেও সেই রাস্তা অনুসরণ করেছে। যুব সমাজকে মূল দিশায় ফিরিয়ে আনতে কে নেবে এর দায়ভার? কোথায় থানা পুলিশ? কোথায় ক্লাব কর্তৃপক্ষ ? এভাবে আর কত যুবক বলি হলে হুঁশ ফিরবে তাদের ?

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য