স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ মে : গত নির্বাচনে যদি আরো বেশি আসনে কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারতো তাহলে কংগ্রেস দলের নেতা কর্মীরা আরো বেশি উজ্জীবিত হয়ে কাজ ঝাপিয়ে পরত। শুক্রবার ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে ব্লক কংগ্রেস সভাপতি এবং জেলা কংগ্রেস সভাপতিদের সাথে নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে বসে এভাবেই উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কংগ্রেস নেতা আশীষ কুমার সাহা।
এদিন প্রকাশ্যে কিছু উদঘাটন না করলেও চুলচেরা বিশ্লেষণে হয়তো সামনে এসেছে যদি বামেদের সাথে একমঞ্চে এসে লড়াই না করতো তাহলে কংগ্রেস আরও ভালো ফলাফল করত। তিনি আরো বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সুশাসনের কথা বললেও প্রশাসনিক দিকে কোন ভূমিকা নেই। বলা যায় এই সরকারের আমলে মানুষের উপর নির্যাতন নেমে এসেছে। বাদ পড়েনি মহিলারাও। কিন্তু অভিযুক্তদের নানাভাবে আড়াল করার প্রচেষ্টা করছে সরকার। যা অত্যন্ত উদ্বেগ জনক বলে জানান কংগ্রেস নেতা আশীষ কুমার সাহা। তিনি দাবি জানান রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার যথাযথ ভূমিকা গ্রহণ করতে। তিনি আরো জানান, নির্বাচনের পর যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সহযোগিতা করার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে দাবি জানানো হবে। আজকে চুলচেরা বিশ্লেষণ থেকে আগামী দিনে কিভাবে কংগ্রেস এগিয়ে যাবে সে বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানান আশীষ কুমার সাহা।
এদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিত সিনহা জানান, সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত মতো রাজস্থানের উদয়পুরে চিন্তন বৈঠকের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়েও পর্যালোচনা হয়। আগামী দিন কংগ্রেস মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কি ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করবে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাসের সমস্ত রিপোর্ট হাতে এসেছে। বহু মানুষের বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ভাঙচুর করেছে। ক্ষতি করেছে কৃষি জমি, জলাশয়ের মাছ এবং রাবার বাগান। এই তথ্য জাতীয় কংগ্রেসের হাই কমান্ড, রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশকের কাছে তুলে দেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন বহু কর্মী এখনো বাড়ি ছাড়া হয়ে রয়েছে। যারা বাড়িতে রয়েছে তাদের কাছ থেকেও মোটা অর্থ আদায় করার জন্য হুইলিয়া জারি করেছে বিজেপি আশ্রিত দুর্বৃত্তরা। এবং এ বিষয়গুলি নিয়ে মামলা করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ সুষ্ঠ তদন্ত করছে না। এগুলি নিয়েও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান প্রদেশ সভাপতি।