স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৮ মে : কাজ না করলেই ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে। নাহলে পঞ্চায়েত সচিবদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। পর্যালোচনা মূলক বৈঠকে বসে বিভিন্ন দপ্তরের কাজকর্মের হিসেব-নিকেশ পেয়ে এভাবেই হুঁশিয়ারি দিলেন সিপাহীজলার জেলাশাসক ডাঃ বিশাল কুমার।বৃহস্পতিবার সিপাহীজলা জেলাশাসকের কনফারেন্স হলে বিধায়ক সুশান্ত দেব, জেলাশাসক ডাঃ বিশাল কুমার, গ্রাম উন্নয়ন, এগ্রিকালচার, সেরিকালচার, ডিডব্লিউএস ও পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকদের পাশাপাশি পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধানদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক হয়। পর্যালোচনা বৈঠকে বিভিন্ন দপ্তরের যে চিত্র ফুটে উঠেছে।
এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের জল জীবন মিশনের অধীন সারা ভারতবর্ষের প্রত্যেকের ঘরে পানীয় জল পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে। এবং সারা রাজ্যে এই প্রকল্পের সাফল্য ৭০ শতাংশের কাছাকাছি। সেই জায়গায় বিশালগড়ে তা মাএ ৪৩ শতাংশ, অর্থাৎ ২৫,৯৯৪টি পরিবারের মধ্যে মাত্র ১১,৬০১টি পরিবারে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। যা ত্রিপুরা রাজ্যের মধ্যে সর্বনিম্ন। আরও আশ্চর্যের বিষয় হল প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১.১২ গ্যালন ক্ষমতা সম্পন্ন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টটি বর্তমানে কারোর কাজে আসছে না, অথচ এর নির্মাণ কাজ শেষ অনেক আগেই। অন্যদিকে বিশালগড় সাধারণত কৃষি প্রধান অঞ্চল হলেও কৃষি দপ্তরের অবস্থা আরও বেহাল। কাগজ পত্রে কৃষি দপ্তরের যতগুলো প্রকল্প দেখানো হয়েছে বাস্তবে তার কোন অস্তিত্বই নেই।
এগুলি কৃষকদের কোন কাজেই আসছে না। গত পাঁচ বছরে যেখানে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হওয়ার কথা সে জায়গায় কৃষকরা উল্টো ঋণের বোঝায় জর্জরিত। বিশালগড় মহকুমার বিশ্রামগঞ্জে একটি মিনি কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ করা হয়েছিল কৃষকদের সবজি সংরক্ষিত রাখার জন্য, অথচ কোল্ড স্টোরের নির্মাণ কাজ পাঁচ বছর আগে সম্পন্ন হওয়া সত্বেও তা এখনো কৃষকদের কোন কাজে আসেনি। এদিনের এই পর্যালোচনা বৈঠকে এছাড়াও ছিলেন বিশালগড় মহকুমা শাসক বিনয় ভূষণ দাস, এগ্রিকালচার সুপারিনটেন্ট প্রিয়তোষ সরকার, বিশালগড় সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অনুরাগ সেন সহ বিশালগড় ব্লক এলাকার বিভিন্ন পঞ্চায়েতের প্রধান উপপ্রধান সহ নির্বাচিত জন প্রতিনিধিরা।