স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ মে : অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোকা মোকাবিলা করতে শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর পৌরহিত্যে এক উচ্চপর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠক হয়। বৈঠকে মুখ্য সচিব জে কে সিনহা, ত্রাণ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের বিশেষ সচিব, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের রাজ্য প্রকল্প আধিকারিক, আগরতলা স্থিত আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা ঘূর্ণিঝড় মোকার গতিপথে নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেন। এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে রাজ্যে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের দ্বারা সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য রাজ্য সরকার এবং জেলা প্রশাসন যথাযথ প্রস্তুতি নিয়েছে। রাজ্য এবং জেলা পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের বুলেটিন জেলা প্রশাসনের কাছে প্রতিনিয়ত পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার জন্য সমস্ত ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য। পরে এদিন রাজ্য অতিথি শালায় সাংবাদিক সম্মেলন করে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানান রাজস্ব দপ্তরের বিশেষ সচিব এ কে ভট্টাচার্য। এদিকে আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা জানান ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে আগামী ১৪ মে রাজ্যের সমস্ত জেলায় ঝড়ো হাওয়া বইবে।
চারটি জেলায় অতি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ১৫ মে ঊনকোটি ও উত্তর জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বাকী জেলাগুলির বিক্ষিপ্ত স্থানে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানান তিনি। ১৪ই মে সকালে প্রবেশ করবে অতি ঘূর্ণিঝড় মোকা। বাংলাদেশের কক্সবাজার ও মায়ানমারের মাঝে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত করবে। রাজ্যে ঘূর্ণিঝড় মোকার পরোক্ষ প্রভাব পড়বে। ১৬ মে পর্যন্ত এর প্রভাব থাকবে বলে জানান তিনি। চাষিদের আউস ধান তোলার জন্য আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের রাজ্য প্রকল্প আধিকারিক মোকা নিয়ে প্রস্তুতির বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে অবগত করেন। প্রয়োজনে ত্রান শিবির খোলার কথাও জানান তিনি। দুর্যোগ পরিস্থিতিতে উদ্ধার কার্যের জন্য ডিজাস্টার ম্যানেজম্যান্টের টিমকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মানুষকে উদ্ধারের জন্য রয়েছে ১৭৬ টি বোর্ড। সুতরাং আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। এবং কেউ যাতে বিভ্রান্ত না হয় সেই বিষয়ে অবগত করেছে প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।