স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ মে : তেলিয়ামুড়ার মাইগঙ্গা সুকান্ত দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়টি রাজ্য সরকারের বিদ্যা জ্যোতি প্রকল্পের অন্তর্গত। এই বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রিন্সিপাল হিসাবে রয়েছেন সর্বাণী ভট্টাচার্য। ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে শুরু থেকেই খারাপ আচরণ সহ গালিগালাজ করে আসছে।
ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে একটা চাপা ক্ষোভ ছিল দীর্ঘদিন ধরে প্রিন্সিপাল ম্যাডামের বিরুদ্ধে। অবশেষে শুক্রবার সেই চাপা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ফলে পড়ুয়ারা পথ অবরোধে শামিল হয়। তাদের দাবি বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল সর্বাণী ভট্টাচার্যকে বদলি করতে হবে। একই সঙ্গে বিদ্যালয় থেকে ডেপুটেশনে যাওয়া দুই শিক্ষক যথাক্রমে বিশ্বজিৎ রায় এবং প্রদীপ কুমার দেবনাথ’কে পুনরায় বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনতে হবে। সূত্রের খবর বিদ্যালয় থেকে ডেপুটেশনে যাওয়া গুণধর দুই শিক্ষক প্রদীপ কুমার দেবনাথ এবং বিশ্বজিৎ রায়ের প্রত্যক্ষ মদতেই শুক্রবার বিদ্যালয়ের কোমলমতি পড়ুয়ারা পথ অবরোধের নাটক মঞ্চস্থ করে।
পথ অবরোধ করেও পড়ুয়ারা ক্ষান্ত থাকেনি। পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। বিদ্যালয়ের ভেতরে প্রিন্সিপাল সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তালা বন্দি করে রাখে। এই ঘটনার দীর্ঘ প্রায় এক দেড় ঘন্টা সময় অতিক্রান্ত হলেও ঘটনাস্থলে দেখা মেলেনি শিক্ষা দপ্তর বা প্রশাসনিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের। পরবর্তীতে অবরোধের প্রায় দেড় দু’ঘণ্টা পর ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ। প্রিন্সিপাল সর্বাণী ভট্টাচার্য জানান বদলী করার ক্ষমতা তিনি রাখেন না। আর বদলী নয় তাদের ডেপুটেশনে পাঠানো হয়েছে। দুরব্যহার করার অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানান তিনি। এদিকে পুলিশ এসে প্রথম দফায় ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে। কিন্তু তারা তাদের দাবিতে অনড় থাকে। এর প্রায় ত্রিশ মিনিট পর তেলিয়ামুড়ার দুই ডি.সি.এম বাপ্পাদিত্য ভৌমিক ও অমিত রায়চৌধুরী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দুই ডি.সি.এমের উপস্থিতিতে তালা মুক্ত হয় বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা। পরবর্তীতে দীর্ঘক্ষন দফায় দফায় ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করে অবশেষে প্রায় তিন সাড়ে তিন ঘণ্টা পর মুক্ত হয় এই পথ অবরোধ। অন্যদিকে এই পথ অবরোধের ফলে রাস্তার উভয় পাশে আটকে পড়ে যানবাহন।