স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ মে : আগে ক্লাব মানে ছিল বিভীষিকা। অস্ত্রের অস্ফালন। কিন্তু সেই বিভীষিকা থেকে বের হয়ে আজ ক্লাব গুলির চিন্তাভাবনা বদলেছে। এলাকার ছেলেমেয়েদের জন্য পাঠাগার তৈরি করছে। কিন্তু ক্লাবে অন্তর্ভুক্ত মানুষের বিভিন্ন সমস্যা থাকে। সে সমস্যাগুলো নিয়ে ক্লাবের কোন ধরনের রাজনীতি করা ঠিক নয়। এলাকায় কোন সমস্যা হলে সেটা আন্তরিকতার সাথে সমাধান করার জন্য বড় ভূমিকা পালন করতে পারে ক্লাব।
মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তর বাধারঘাট স্থিত উন্নয়ন সংঘ ক্লাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পাঠাগারের শুভ দ্বারোদঘাটন করে এ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। তিনি এদিন উন্নয়ন সংঘ ক্লাবের সদস্যদের পক্ষ থেকে এলাকাবাসীর জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পাঠাগার তৈরি করার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন। তারপর অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী রবীন্দ্র জয়ন্তীর প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ভারতীয় সংস্কৃতির অন্যতম প্রাণপুরুষ ছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর আজ জন্মদিন। মহারাজা বীরচন্দ্র মানিক্য বাহাদুরের সময় থেকে ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্পর্ক ছিল। তিনি যখন ত্রিপুরায় এসেছিলেন তখন ভারত ভাস্কর উপাধি দেওয়া হয়েছিল।
এবং এই কবিগুরু রাজর্ষি, মুকুট এবং বিসর্জন নাটক লিখে গেছেন। নাটক কবিতা এবং বিচিত্র ধরনের প্রবন্ধ হোক না কেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পারদর্শিতার ছাপ রেখে গেছেন। আর এটা যখন বর্তমান সমাজ জীবনে গ্রহণ করা হয় তখনই দেখা যায় এক পরিপূর্ণ জীবনের কাছাকাছি আমরা চলে আসি। তাই কবি গুরুকে স্মরণ না করে কোন শুভ অনুষ্ঠান শুরু হয় না। ১৯০৫ সালে যখন বঙ্গভঙ্গ শুরু হয়েছিল তখন ভ্রাতৃত্ববোধের জন্য এটাকে তিনি রাখি বন্ধন উৎসব পালন করেন। এবং গীতাঞ্জলি জন্য তিনি ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। কবিগুরু কৃষ্টি-সংস্কৃতি, চিন্তাভাবনা এবং দেশপ্রেম সামনে রেখে শুধু ক্লাব লাভ নয়, গোটা দেশ এবং বিশ্ব এগিয়ে যাবে বলে আশা ব্যক্ত করে মুখ্যমন্ত্রী। আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই দিন উপস্থিত মেয়র দীপক মজুমদার বক্তব্য রেখে বলেন ২৫ শে বৈশাখ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম জয়ন্তী আমরা বাঙালিদের জন্য একটি বিশেষ দিন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণভাবে পালন করার হয়। যাতে আগামী দিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দিশায় আমরা এগিয়ে যেতে পারি। মেয়র আরো বলেন ২০১৮ সালে শুধু সরকার পরিবর্তন হয় নি, আত্মসামাজিক ও মানসিকতার পরিবর্তন হয়েছে। আগামী দিনে এভাবে বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা এগিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এমনটাই জানান মেয়র দীপক মজুমদার। পরবর্তী সময়ে মুখ্যমন্ত্রী ফিতা কেটে উদ্বোধন করা পাঠাগারটি পরিদর্শন করে সাধুবাদ জানান। এদিনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর অভিজিৎ মল্লিক, ক্লাবের সভাপতি প্রণব সাহা, সম্পাদক পার্থ সরকার সহ এলাকার বিশিষ্ট জনেরা।