স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১ জানুয়ারি : স্ব-ভিমানী ও স্বচ্ছ ত্রিপুরা দেওয়ার স্বপ্নের লক্ষ্যে কাজ করছে বর্তমান সরকার। মানুষ তার জবাব দেবে। স্থানীয় নির্বাচনে মানুষ ইতিমধ্যেই জবাব দিয়েছে। গ্রামের মানুষের মধ্যে মানসিকতার পরিবর্তন ঘটেছে। কৃষকরা সব চাইতে বেশি ত্রিপুরাকে বুঝে। ত্রিপুরার মানুষ সব জানে ত্রিপুরাতে কি কি হচ্ছে। আগামী দিনে কি কি হবে তা জানে মহিলারাও। মা জানলে পরিবার জানবে।
তবে বর্তমান সরকার কোন অপ প্রচার চালায় না। আগের সরকার অপ প্রচার, মিথ্যার প্রচার করত। এই মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করতে বার বার প্রচার চালাতে হতো তাদের। এখনো তাই করে যাচ্ছে। টি এস আর –র নিয়োগ নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে বিরোধী দলগুলি। এই স্বচ্ছ নিয়োগ নিতি আগে কখনো তারা করে দেখাতে পারেনি। শনিবার স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার আঞ্চলিক ব্যবসায়িক কার্যালয় ও পূর্বদয়া সামাজিক সংস্থার উদ্যোগে বড়জলাস্থিত আপনা ঘরের আবাসিকদের মধ্যে কম্বল, চাদর ও কাপড় বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। ভারতবর্ষের মানুষ মুনি ঋষির বংশের সঙ্গে নিজেদের জুড়ে রাখে। কোন সাম্রাজ্যবাদী সাথে বংশ পরিচয় জুড়ে না। আধ্যাত্মিকতা ভারতদের আত্মা। ভারত সমগ্র বিশ্বে আধ্যাত্মিকতার জন্য পরিচিত। এর জন্যই ভারত সমগ্র বিশ্বের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। কিন্তু বিগত ২৫ বছর ও তার আগেও ভারতীয়তা ও আধ্যাত্মিকতার মধ্যে আঘাত করা হয়েছে। ধর্ম গুরুদের আঘাত করে তাদের তিরস্কার করা হতো। মন্দির, মসজিদ, গির্জায় যারা যেত তাদের তিরস্কার করা হতো। কিন্তু ভারতের সংস্কৃতি ও কৃষ্টিই সকলকে ধরে রাখে। সমাজ ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখে। ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, আধ্যাত্মিকতা পদবী দিয়েছে। নাম পরিবর্তন হলেও এই পদবী পরিবর্তন হয় না। স্বচ্ছ সরকার চলছে। কেউ আঙুল তোলার ক্ষমতা পায়নি। নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্র ত্রিপুরার গ্রামে পরিষেবার মাধ্যমে পৌঁছে দিচ্ছে বর্তমান সরকার বলে মুখ্যমন্ত্রী।
বিগত ২৫ বছর জারা ক্ষমতায় ছিল তাদের মানসিকতা কি ছিল তা রাজ্যবাসী জানে। চাকুরী দিতেন উচ্চ আদালতে মামলা হয়ে যেত। সুপ্রীম কোর্ট এই চাকুরী বাতিল করে দিত। এই সরকার রেকর্ড করেছে। দুই দিনে ২৮০০ চাকুরী প্রদান করেছে। এই নজির ত্রিপুরায় নেই। নববর্ষে সকলের কাছে মুখ্যমন্ত্রী আহ্বান জানান সদর্থক চিন্তা ভাবনা নিয়ে চলার জন্য। নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। মোদী আছে তো সমস্ত সম্ভব বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, অবৈধ ভাবে রাজ্য সরকারের জমি কেউ দখল করলে তাকে বড়দাস্ত ত্রিপুরা সরকার কোন দিন করবে না। পুরনো সরকার যা হিম্মত করতে পারেনি তা করে দেখিয়েছে বর্তমান মেয়র। রাজনীতির চাকা লাগিয়ে ত্রিপুরা মানুষের জমি দখল করা যাবে না। ভূ-মাফিয়াদের রাজ এই রাজ্যে চলবে না। তাদের জেলের রাস্তা দেখানো হবে বলে কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মেয়র দীপক মজুমদার, বিধায়ক ডাঃ দিলিপ দাস, পূর্বদয়া সামাজিক সংস্থার সম্পাদিকা নিতি দেব সহ ব্যাঙ্কের আধিকারিকেরা। এদিন আপনাঘড়ের আবাসিকদের মধ্যে কম্বল, চাদর তুলে দেন অতিথিরা। একই সঙ্গে ষ্টেট ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা করা হয়।