স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৬ এপ্রিল : ভারতীয় জনতা পার্টি দ্বিতীয়বার প্রতিষ্ঠিত হয়ে ত্রিপুরা রাজ্যে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে রেখেছে। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে কৃষকদের উপর। মানুষের বাড়িঘর, পোল্ট্রির ফার্ম, গৃহপালিত পশু জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে, পুকুরে বিষ ঢেলে মাছ মেরে ফেলা হচ্ছে এবং বাড়ির মহিলাদের পর্যন্ত আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে। দেশের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা আর কোন রাজ্যে নেই।
ত্রিপুরায় শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখতে পুরোপুরি ভাবে ব্যর্থ হয়েছে বর্তমান সরকার। এই ঘটনাগুলি তথ্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হবে। আগামী ১০ থেকে ২০ মে -র মধ্যে সারা দেশে ত্রিপুরার পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকারের পর্দা ফাঁস করা হবে। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে এই তথ্য গোটা দেশের গ্রামে গ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে। রাজ্য কমিটির বৈঠকের পর সারা ভারত কৃষক সভা কার্যালয়ে বুধবার আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিজু কৃষ্ণান। তিনি আরো বলেন ত্রিপুরার যে শান্তি পরিবেশ ছিল সেটা নষ্ট করতে উঠে পড়ে লেগেছে বিজেপি। তিনি সারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে কৃষকদের ফসলের মূল্য, বিমার সুযোগ সুবিধা সহ যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছিল তার কোনটাই পালন করেনি। বরং এ সরকার চলাকালীন গত ৮-৯ বছরে ক্রাইম ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী দেশের এক লক্ষের অধিক কৃষক ও খেদমজুর কৃষি সংকটের কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।
এবং আড়াই লক্ষাধিক দিনমজুর আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। পাশাপাশি বর্তমান সরকারের দুই কোটি কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি পালন না করায় পঞ্চাশ হাজারে অধিক বেকার যুবক আত্মহত্যা করেছে। তাই এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করে তুলতে হবে বলে জানান সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সারা ভারত কৃষক সভা রাজ্য কমিটির সম্পাদক পবিত্র কর সহ অন্যান্যরা।