স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ এপ্রিল : ১৯৭০ সালে ২৪ শে অক্টোবর তপশিলি জাতি ও জনজাতি কল্যাণ দপ্তর চালু হয়। ১৯৮২ তে রাজ্যের জনজাতি জনগোষ্ঠীর বিকাশের লক্ষ্যে পৃথকভাবে জনজাতি কল্যাণ দপ্তর কাজ শুরু করেন। নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়ার পাশাপাশি জনজাতিদের উন্নয়নের বিভিন্ন প্রকল্প গুলি পর্যালোচনা করে সময় ও পরিবর্তিত পরিবেশের সাথে তাল মিলিয়ে আরও বাস্তবমুখী করে তোলা হচ্ছে। বুধবার সুপারিবাগান স্থিত জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা।
দপ্তরের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন তিনি। রাজ্যের জনজাতিদের সাংস্কৃতিক, আর্থ-সামাজিক মানোন্নয়ন এর জন্য জনজাতি গবেষণা কেন্দ্র বিভিন্নভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২২- ২৩ অর্থবছরে এখনো পর্যন্ত মোট ৬৭০ জন দরিদ্র জনজাতিদের চিকিৎসার জন্য জনজাতি কল্যাণ দপ্তর ৪৯ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া সমস্ত জেলার জন্য ১১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা এবং বিশেষ করে এডিসি- র জন্য নয় কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। বনাধিকার আইনের মাধ্যমে ২৩ শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যের মোট দেড় লক্ষাধিক জনজাতি ও সাধারণ অংশের পরিবারকে মোট এক লক্ষ ৮৮ হাজার ২৫৭ দশমিক ৭ হেক্টর পরিমাণ জমির পাট্টা প্রদান করা হয়েছে। ৩২ হাজার মানুষ ঘর পেয়েছেন। বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় কৃষি, বাগিচা ফসলের ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। বারটি পিছিয়ে পড়া ব্লক সহ ২৩ টি জনজাতি অধ্যুষিত ব্লকের অধীন বসবাসকারীদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটাতে বিশ্ব ব্যাংক আর্থিকভাবে সহায়তা করছে। ১৪০০ কোটি টাকার মধ্যে ৮০ শতাংশ বিশ্ব ব্যাংক থেকে ঋণের মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে। এদিন জনজাতি গবেষনা এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের বিষয়টি জানান মন্ত্রী।