Saturday, July 27, 2024
বাড়িরাজ্যজমজমাট চৈত্র হাট, ক্লান্তি মেটাতে মিষ্টি ও পানীয় জল নিয়ে গেলেন মেয়র

জমজমাট চৈত্র হাট, ক্লান্তি মেটাতে মিষ্টি ও পানীয় জল নিয়ে গেলেন মেয়র

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ এপ্রিল : ৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে আগরতলা শহরে চৈত্র হাট। তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করেই আগরতলা শহরের শকুন্তলা রোড এবং জ্যাকসন গেইটে জমে উঠেছে চৈত্র হাট। যতদিন ফুরিয়ে যাচ্ছে ততই বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। দ্বিতীয় শনিবার অফিস বন্ধ থাকায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভিড় বেড়েছিল চৈত্র বাজারে। রবিবার এর ব্যতিক্রম হয়নি। রেকর্ড ভিড়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে সকাল থেকে কেনাকাটার ধুম।

 সব মিলিয়ে ভিড়ে ঠাসা জমজমাট বাজার। সকলের একটাই ধারণা বছরের শেষ এই চৈত্র মেলায় কিছুটা হলেও জিনিসপত্রের মূল্য ছাড় পাওয়া যাবে। তবে কম লাভালাভের জন্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা হাসিমুখেই পসরা সাজিয়ে বসেছে জমজমাট চৈত্র বাজারে। এদিকে এই দিন সকাল বেলা দেখা গেছে মেয়র দীপক মজুমদার এবং ডেপুটি মেয়র মনিকা দাস দত্ত মিষ্টি এবং পানীয় জল নিয়ে চৈত্র মেলায় হাজির হয়। ব্যবসায়ীদের হাতে মিষ্টি এবং পানীয় জল তুলে দিয়ে তাদের পিপাসা মেটায়। এবং কথা বলেন তাদের সাথে। কোন সমস্যা রয়েছে কিনা সে বিষয়ে অবগত হন। ঘুরে দেখেন গোটা চৈত্র বাজার। চৈত্র হাট পরিদর্শন করে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে মেয়র দীপক মজুমদার জানান, ক্ষুদ্ধ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তাদের কোন সমস্যা রয়েছে কিনা সে বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে।

তারা জানিয়েছেন সুষ্ঠুভাবে এবং শান্তি সম্পন্নভাবে ব্যবসা করছে। মেয়র বলেন, এই চৈত্র মেলা আগরতলা শহরের ঐতিহ্য। প্রতিবছরের মতো এবারও চৈত্র মেলা ভালো চলছে। ক্রেতাদের সমাগম হচ্ছে মেলায়। তোল্লা আদায়ের কোন অভিযোগ নেই। এ বছর ৫৩৮ জন ব্যবসায়ী স্থান পেয়েছেন। তবে অনেকেই জায়গা পায়নি। তাই জায়গার সংকলনের কারণে আগামী বছর কোন একটি জায়গা নির্ধারিত করে সেখানে সকলে যাতে স্বাচ্ছন্দ ভাবে চৈত্র মেলায় অংশ নিতে পারে তার জন্য ব্যবস্থা করবে আগরতলা পুর নিগম। রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় রেকর্ড ভিড়ে পা রাখার জায়গা ছিল না চৈত্র মেলায়। জানা যায় আগরতলা শহরে বাইরে থেকেও বহু ক্রেতা এদিন চৈত্র মেলায় এসেছে কেনাকাটা করার জন্য।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য