স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১ এপ্রিল : শুক্রবার নয়া দিল্লিতে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ। এই বৈঠকে বিগত পাঁচ বছরের কাজের তথ্য তুলে ধরার পাশাপাশি আগামী দিনের রূপরেখা সম্পর্কে অবগত করেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ। শনিবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান তিনি। কেন্দ্রীয় সহায়তার আর্জি জানানো হয়। উন্নয়ন ঘটলে বিদ্যুৎ-র চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। আধুনিকতা মানেই বিদ্যুৎ।
তিনটি নতুন ১৩২ কেভি সাব ষ্টেশন তৈরি করেছে । এতে ব্যয় হয়েছে ৮০ কোটি টাকা। নতুন ১৩২ কেভি লাইন তৈরি হয়েছে ১৫৪ কিলোমিটার। এতে ব্যয় হয়েছে ৩৯ কোটি টাকা। গত ৫ বছরে ২২ টি নতুন ৩৩ কেভি সাব ষ্টেশন তৈরি হয়েছে। ১৩২ কোটি টাকা এর জন্য ব্যয় হয়েছে। ৩৯০০ কিলোমিটার এস টি লাইন তৈরি হয়েছে বলেও তথ্য দেন তিনি। ২১৮ কিলোমিটার নতুন আন্ডার গ্রাউন্ড ক্যাবল লাইন বসানো হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। ২৫ হাজার ২৬০ টি সোলার স্ট্রীট লাইট বসানো হয়েছে। ১৬৫৯ টি জল সেচের জন্য সোলার পাম্প মেশিন বসানো হয়েছে। ১৭ টি পাড়াকে চিহ্নিত করে মাইক্রো গ্রীডের মাধ্যমে লাইন দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর জন্য কোন বিল দিতে হবে না। পুনঃনবীকরণ শক্তির ক্ষেত্রে সমস্ত ধরনের লেজস্টিক সাপোর্ট দেবে সরকার। পুনঃনবীকরণ শক্তি সঞ্চয় করা গেলে তা বাংলাদেশের চিটাগাং পোর্টের জন্য দেওয়া যেতে পারে। এই প্রস্তাব রাখা হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নিকট। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে দ্রুত একটি টিম পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সরকার ক্লীন এবং গ্রীন এনার্জির জন্য কাজ করে চলেছে। সরকার চাইছে ত্রিপুরায় বড় আকারে বিদ্যুৎ শক্তির সঞ্চয়ের ব্যবস্থা করার।
প্রয়োজনে সরকার পুনঃ নবীকরণ সেক্টরের লজিস্টিক সাপোর্ট গ্রহণ করবে। এর জন্য জমির প্রয়োজন হলে সরকার দিতে পারবে। পাশাপাশি সরবরাহের ক্ষেত্রে সমস্ত সাহায্য করতে প্রস্তুত। এই কথা জানানোর পর কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী জানান কেন্দ্র সরকার একটি প্রতিনিধি দল ত্রিপুরায় পাঠাবে আশ্বস্ত করেছেন বলে জানান রতনলাল নাথ। কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সংস্থা দিয়ে ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করা হয়। বাংলাদেশের কাছে কাছে ত্রিপুরা সরকারের বকেয়া ১৪৫ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী জানতে চান কেন তাদের আরো বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে না। এর পরিপ্রেক্ষিতে বলা হয়েছে ডলার ক্রাইসিস রয়েছে তাদের। তাই দাবি জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থাটিকে যাতে নির্দেশ দেওয়া হয় অবিলম্বে সেই বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য। কেন্দ্রীয় সরকার এখন চিন্তা ভাবনা করছে রোপির মাধ্যমে টাকা আদান প্রদান করার জন্য। দাবি করা হয়েছে যাতে পরবর্তী সময় অর্থ রাশির ক্ষতিপূরণ সহ মিটিয়ে দেওয়া হয়। রাজ্য সরকার সৌভাগ্য যোজনার মাধ্যমে নয় কোটি ২৩ লক্ষ টাকা পাওয়ার কথা। সেই টাকা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য দাবি জানানো হয়েছে। ৮০৩ কোটি টাকা আর ডি এস এস স্কিম মঞ্জুর করা হয়েছে।
বিদ্যুতের ক্ষতি কমানোর জন্য এবং গুণগত মান ভালো করার জন্য ৬ টি জেলায় বিতরণ শুরু হয়ে গেছে। সরকার ৪ লক্ষ ৫০ হাজার স্মার্ট মিটার করতে চলেছে। এর জন্য ব্যয় হবে ৮৪ কোটি টাকা। এর জন্য দরপত্র আহ্বান করে চূড়ান্ত করতে আহ্বান জানানো হয়েছে। সরকার চাইছে ৫০০ গিগাওয়াট বাড়ানোর জন্য। কেন্দ্রীয় সরকারের এটা বড় লক্ষ্য। মন্ত্রী আরো বলেন, কৃষি ক্ষেত্রে ১২০০ অধিক সোলার পাম্প এবং গ্রামীণ মার্কেট গুলিতে আলোকিত করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে আরো অবগত করা হয়েছে ডম্বর জলাশয়ে ১৩০ মেগাওয়াট ফ্লটিন সোলারের এন টি বি সি -র সঙ্গে মৌ স্বাক্ষর করা হয়েছে।